মার্গে অনন্য সম্মান শুক্লা বিশ্বাস (সেরা)
by
TechTouchTalk Admin
·
Published
· Updated
অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার
পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ২৩
বিষয় – নবান্ন
নতুন অন্নের উৎসব
ভারত তথা বাংলা আমার চির সবুজের দেশ,
শ্যামল শস্য সারা মাঠে সুখের সতেজ রেশ।
সারা বছরই মাঠে খাটছে গরীব চাষীর দল,
রোদে পুড়ে জলে ভিজে তুলছে যে ফসল।
হেমন্তের ওই মৃদুল হাওয়ায় শিরশিরানি গায়,
চাষী ভাইয়ের মনে বিরাজ সুধার পালক ধায়।
ধান্য উঠলেই ভরবে গোলা ক্লান্তি হবেই দূর,
সারা বছরের কষ্টের ফসল খুশিতে ভরপুর।
বোশেখ জৈষ্ঠ প্রখর রোদে মাটি তৈরির কাজ,
বর্ষায় ভিজে কাদা জলে হাজার স্বপন রাজ।
লাঙল বলদ নিয়ে কাঁধে কাটায় বারো মাস,
ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক আলের ধারে বাস।
শরৎ কালে জগৎ মাতায় সবার হাসি মুখ
হেমন্তের রূপ শিশির ধোয়া মনে গভীর সুখ।
কচি ধানে পাক লেগেছে মাঠের পরেই মাঠ,
নতুন সুবাস খুঁজে বেড়ায় সকল সবুজ ঘাট।
ঘরে আসে লক্ষ্মী রূপে চাষীর দীঘল শ্বাস,
চাষী বৌয়ের ঘোমটা টানা শান্ত সুখের আশ।
ফসল আসে ঝাড়াই বাছাই গৃহে কত কাজ,
সন্ধ্যে হলেই প্রদীপ হাতে সুখে করেই রাজ।
বাংলা গাঁয়ে বারো মাসে তের টা উৎসব হয়,
পুজো পার্বণ নিয়ম কানুন সবেই বাঁধা রয়।
নবান্নে তাই লক্ষ্মী পুজোয় পরমান্নের ঘ্রাণ,
নতুন ধানের “নতুন অন্নে” প্রসাদে পায় প্রাণ।
পৌষ মাসের শেষ সংক্রান্তি নবান্নেরই দিন
লক্ষ্মী মায়ের পায়ের আঁকা আল্পনায় রঙিন।
চালের গুড়ায় আঁকা হবে সারা উঠোন ময়,
আপন পরের আসা যাওয়া খুশির উদয় হয়।
একই সাথে খাওয়া দাওয়া ধনী গরীব সব,
উৎসর্গে দেয় পূর্ব পুরুষ দের মিলনের রব।
মানুষ আজি যন্ত্র সমান আসা যাওয়া লীন,
নবান্নের রূপ শেষপর্যায়ে বেসুর বাজে বীণ।।