ক্যাফে কলামে সঙ্কর্ষণ

হিংস্র

কে কোন দলের সমর্থক মনে ক’রবেন তা অজ্ঞাত, তবে আপাদমস্তক জিঘাংসা অস্তিত্বরক্ষার্থে হৃদয়ে পোষণ করে যে সম্প্রদায়, তাদের গতিরোধ অত্যন্ত প্রয়োজন। উপাস্যের অপমানে যারা প্রায়শই মা দুর্গা বা যীশুখ্রীষ্ঠের মূর্তির ওপর নৃশংস আক্রমণ চালায়, তাদের ঈশ্বরও নিঃসন্দেহে রক্তখদ্যোৎ। তিনি পূজাপ্রাপ্তির অযোগ্য।

অজানা পূর্বজকৃত অপরাধের শাস্তি দিতে স্বহস্তে রক্তস্নান ক’রতে সক্ষম, অথচ আপামর বিশ্ববাসীকে যেকোনো মুহূর্তে বিধর্মী ঘোষণা ক’রে এরা সম্মিলিত প্রয়াসে তাদের নিশ্চিহ্ন ক’রে দেয়। নারীজাতির প্রতি এদের অধিকাংশের মনোভাব রীতিমতো ঘৃণার উদ্রেক করে।

ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া যে কেবল বুদ্ধিহীনতার পরিচায়ক তা’ই নয়, নৈতিকতার উল্লঙ্ঘনও। কেবল উপাস্যের অপমানে যারা বস্ত্রশিল্পী থেকে দার্শনিক যেকোনো মানুষের প্রাণধারণ অন্যায্য মনে ক’রে, তাদের বিনাশসাধন এই মুহূর্তে আশু প্রয়োজন।

স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি উগ্র হিন্দুত্ববাদের তীব্র বিরোধী এবং তা উচিতও। কিন্তু সম্প্রতি এতো নির্দোষের প্রতি আক্রমণকে কোনো এক গুজরাট, বাবরি বা আখলাকের প্রত্যুত্তর হিসাবে সমর্থন করা অসম্ভব। রামনামের ধ্বনিতে অসভ্যতা নিতান্ত অনভিপ্রেত…

কিন্তু সেজন্য “গুস্তাখ্-এ-নবী কি এক হি সাজা, সর তন্ সে জুদা”-কে সমর্থন করাকে যদি বামপন্থা বলা হয়, সেই তথাকথিত আদর্শকে আমি ঘৃণা ক’রি।

ধন্যবাদ।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!