Cafe কলামে – আত্মজ উপাধ্যায় (পর্ব – ১)

ভারতে ধর্ষণ কি অতিরঞ্জিত প্রচার? (১)

প্রিয় পাঠক, প্রতি সপ্তাহে, আমি কিছু কথা আপনাদের ভাবনার খোরাক হিসাবে এখানে লিখে যাব, আমার ভাবনা উৎস অন্য কোন ঘটনা, যা আমি জানি বা আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে, বা আমি কারুর- বিখ্যাত কোন ব্যক্তির , ঘটনার থেকে আমার প্রতিক্রিয়া হিসাবে, যুক্তি, বিজ্ঞান দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি, সেগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আপনার আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে যুক্তি দিয়ে যদি মনে করেন ভুল , আমাকে জানাবেন। তাহলে আমার লেখা আরো উন্নত রূপ পাবে।
আমার বিষয় নরনারীর যোগ্যতা বা নারীবাদ ও তার প্রভাব। নারীবাদ শুধু নারীর নয়, সমগ্র মানব সভ্যতায় ধ্বংস নিয়ে আসছে। কিভাবে আনছে  তা উপর থেকে বোঝা যাবেনা। তার শিকর খুঁজতে হবে। আমাদের অনেক গভীর  বিশ্লেষণ দেখতে হবে।
আপাততঃ আমরা দেখছি, সমাজে নারী পুরুষের একটি দ্বন্দ্ব। নারীরা অভিযোগ করছে পুরুষ তাদের ধর্ষণ করছে। এবং অধিকাংশ তরুণ সমাজ, যুবক যুবতী এই ধর্ষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার। মিডিয়াগুলি আরো সোচ্চার। ফলে কিছুদিন আগে আমি শুনেছিলাম ভারতকে ধর্ষকের দেশ বলে আখ্যা দেওয়া হোক। নির্ভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর মিডিয়া এমন প্রচার করল আন্তর্জাতিক মহল মনে করল ভারতের প্রতিটি পুরুষ ধর্ষক। এবং বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের পড়াশুনার জন্য কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নাকচ করে দিল। এটা একটা অতি খারাপ ঘটনা।
জার্মান মহিলা প্রফেসরের বক্তব্য ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’ প্রতিবেদনে যা প্রকাশ পেল তা হল
ভারত মহিলা ধর্ষকের দেশ, আমার কলেজে অনেক মহিলা ছাত্রী তাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় ছাত্র প্রবেশ বন্ধ। নীচে বিবিসির প্রতিবেদনের খবরের অংশ।
আপনি ভাবুন। হিস্টিরিয়া আর কাকে বলে? উন্মাদ বিকার গ্রস্থ পাবলিক। ভারতের জনসংখ্যা ১৩৩ কোটি। এই বিশাল জনরাশিতে দুর্ভাগ্য জনক ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ধর্ষণ শাস্তি যোগ্য ও নিন্দা যোগ্য অপরাধ, তবু  উত্তাল জনরাশি, বারে বারে ধর্ষণের ঘটনার সাথে সাথে উন্মাদের উন্মত্ততা দেখানোর যুক্তি কোথায় নিজেদের জিজ্ঞেস করুন।  সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করে, খুন হত্যা ঘটিয়ে, ট্রাম বাস লরী পুড়িয়ে  নিজেদের অপরাধী মনে হচ্ছেনা?
পৃথিবীর ১০ দেশ যেখানে ধর্ষন বেশি হয়, সেখানে ভারতের নাম নেই  South Africa (132.4),Botswana (92.9), Lesotho (82.7), Swaziland (77.5), Bermuda (67.3), Sweden (63.5), Suriname (45.2),
Costa Rica (36.7)।  উইকি পিডিয়ার সূত্র অনুযায়ীঃ South Africa having 500,000 rapes per year, China having 31,833 rapes a year, Egypt having more than 200,000 rapes a year, and the United Kingdom at 85,000 rapes a year.
সেই সব দেশ গুলিকে ছাপিয়ে কম সংখ্যক ধর্ষন ঘটনা পরিসংখ্যন থাকা সত্ত্বেও ভারতের দুর্নাম মিডিয়া ও আমাদের দেশের তরুন তরুণীরা করেছে । এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
 শুধু তা নয়। ভারতের সুপ্রীম কোর্ট বলেছে ৭৫ শতাংশ মিথ্যে ধর্ষণের কেস মেয়েরা আনে। ধর্ষণ ও ডিভোর্সের কেস মেয়েরা আর্থিক বড় অংক লাভের জন্য করে।।
আচ্ছা বলুন তো একটা ধর্ষণের কেস গুরুতর না একটা খুনের কেস, বা হত্যার কেস গুরুতর? প্রতিদিন পুরুষ হত্যা হয়, সীমান্তে, মহিলার গঞ্জনার সুইসাইডে। ইউনাইটেড নেশনের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে ৮ টি পুরুষ মরে যেখানে ২জন মহিলা মরে। আপনি কি কখনো শুনেছেন, আট জনের একজন পুরুষ মরার পর কেউ মোমবাতি  জ্বালিয়েছিল বা প্রতিবাদের মিছিল বের করেছিল? শুধু তাই নয়, একটি মেয়ের মিথ্যা রেপ কেসের জন্য গতবছর ২০১৯ অক্টোবরে বিজয় সিং নামে ২৬ বছরের একটা ছেলেকে পুলিশ পিটিয়ে মেরেই ফেলল। এই মিথ্যে কেসের জন্য মেয়েটির সাজা হলনা।

ভারতবর্ষের পাবলিক, যারা প্রতিবাদ বা মিছিল ইত্যাদি করে তারা রাজনৈতিক গুন্ডা নয়ত ভেড়ার দল। তারা কিছু বিষয়ে অতি উৎসাহী আর কিছু বিষয়ে  শীতের মড়া।
 তার মধ্যে মহিলারা  অন্যায় বেশি করে অথচ তারা শাস্তির দোর গোড়াতেও যায়না। এইরকম বিষয়গুলি পুরুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে নারীর বিরুদ্ধে। এটা কাম্য নয়। আমি নির্ভয়ার কথা বললাম তার উল্টো আরেকটি ঘটনা বলছি।
একটি ১৫ বছরের মেয়ে, গ্রামে গঞ্জে ১৫ বছরের মেয়ে মা হয়ে যায়, সংসার করে, মেয়েটি নয় বছরের একটি ছেলের সাথে যৌন সংগম মানে রেপ করতে গেছিল। ছেলেটির পুংলিংগ উত্থিত হয় নি বলে মেয়েটি রাগে ছেলেটির পুংলিংগ কেটে দিল।
নির্ভয়ার কাহিনী দেশ রাস্ট্র ছাপিয়ে খবর চলে যায়। কিন্তু ছেলেদের বেলায় নারী অবলা। নারীকে শাস্তি দেওয়া যাবেনা। কেন? এর উত্তর আমাদের নির্লজ্জ সমাজের আছে কি?
আপনার কি মনে হচ্ছেনা নারীবাদ বা মহিলারা সভ্যতার কাছে একটা হূমকী। যে জার্মান মহিলা ভারতীয় ছাত্রকে ভর্তি নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করল।  যে মহিলারা  ভারতের দুর্নাম ছড়াতে ভালবাসে, যে মহিলারা মিথ্যে কেসে একটি ছেলের প্রাণ বলির জন্য দায়ী, যে মহিলা যৌনতার জন্য একটি নয় বছরের শিশুর লিংগ কেটে দেয়।
 পুরুষ হিসাবে মহিলাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দেওয়া কর্তব্য মনে করি কারণ একই সমাজের বাসিন্দা  আমরা। আমার প্রতিবেশি যদি তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে লাভবান হয় (হতেই পারে, তার নানা কারণ থাকে) আমার কোন সমস্যা নয়। কিন্তু তার বাড়ির আগুন যদি আমার বাড়িতে চলে আসে ও আমার দুচালা পোড়ায় তাহলে আমার নিরাপত্তা বিঘ্ন হয়। আমাকে সে আগুন যেকোন প্রকারে রুখে দিতে হবে। সমাজে বাস করলে আপনি যা খুশি করতে পারেননা। এখানে সামাজিক কিছু দায় দায়িত্ব থাকে।
গত ৪০০ বছর অধিক কাল নারীবাদ সারা পৃথিবীকে গিলে খেয়েছে। এবং তাতে পুরুষ জাতি বিপন্ন, সভ্যতা বিপন্ন, আগামী প্রজন্ম বিপন্ন।
আমার চর্চার বিষয় এগুলিই। তথ্য প্রমাণ সহ আমি এখানে রাখতে চাই। আমি জানি আপনি আমার চাইতে অনেক বিজ্ঞ ও গুণীজন। আপনার সদুপদেশ ও অভিজ্ঞতা আমার সাথে শেয়ার করলে আমিও সেই সদুপদেশ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেব। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই আমরা উন্নত সমাজের জন্য কাজ করছি। নারীপুরুষের অধিক স্বাচ্ছন্দের কথা ভাবছি।

চলবে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।