সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ২৪)
পুপুর ডায়েরি
ওই কালো লোহার শিক আর বরফি বরফি জাল দেয়া জানালায় বসেই সময় কাটতো।
দিন গড়িয়ে দুপুর। তারপর বিকেলের আলো কমতে কমতে সন্ধ্যে।
ঐ জানালাতে বসেই দেখেছি, সামনের রেল পাড়ের বস্তিতে ওয়াগন ব্রেকিং করা ছেলেদের। রেল লাইনের দু পারের দুই দলের মারামারিতে বড়ো চপার হাতে দৌড়তে থাকা দুলু ইত্যাদি ডাকসাইটে মাস্তানদের। নাকে সর্দি গড়ানো, নোংরা মাখা চুলের, অকথ্য ভাষা বলা বাচ্চাদের সারাদিন মন দিয়ে দেখতাম। শুনতাম, ওরা এক অন্য ভাষায় কথা বলে।
মা একদিন আমায় হাঁ করে এই ভাষা শুনতে দেখে জিগ্যেস করলেন, হ্যাঁ রে, তুই এই কথা গুলো হাঁ করে শুনছিস। জানিস এই সব শব্দ?
দু বছরের আমি ঘাড় নেড়ে বললাম, হ্যাঁ জানি তো।
আতঙ্কিত মা, আতঙ্ক চেপে নির্বিকার মুখ করে জিগ্যেস করলেন, তা হলে কখনো বলো না যে ?
পুপু গম্ভীর হয়ে বলল, বা’ কি বলে? বাবা বলে না তো?
এই গল্প মা কত জায়গায় যে করেছেন।