সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ৯৫)

রেকারিং ডেসিমাল

দুটো দিন হইহই করে কেটে গেল। রাতে উপরের বাঙ্কে চড়ে শোয়ার উত্তেজনা। দিদি একেবারে ওপরে উঠে গেছে। মাঝের বাঙ্কে মায়ের সঙ্গে ভাই। দিদি পাছে পড়ে যায়, গামছা দিয়ে বেঁধে দেয়া হল ওপরের বাঙ্কের ঝোলানোর হ্যান্ডেলে। সে উপর থেকে উঁকি মেরে মাঝের বাঙ্কে ভাইয়ের সাথে কথা বলে আর হি হি করে।
বেশি রাতে, মা ছেলেকে এক হাতের ওপরে শুইয়ে অন্য হাত আলতো করে উপরের বাঙ্কে রাখেন।
মাকে ছাড়া মেয়ে ত ঘুমোয় না। আজ চুপটি করে মায়ের আঙুল ধরে শুয়ে থাকে।
সকালে জানলার পাশে ঠেলাঠেলি।
মাঠ, গাছ, ক্ষেত, ধান, গম, আখের ফসল। ধানের গোলা, হালের বলদ, গরুর গাড়ি, নদী, নালা, পুকুর, শাপলা, পদ্ম, আবার অনেক দূরে আবছা পাহাড়, টিলা। ভাইবোন হাঁ করে দেখে।
দেখ ভাই, ঠিক যেমন ড্রইং খাতায় সিনারি আঁকি। না রে?
হ্যাঁ, ঠিক বলেছিস।
কত স্টেশনে কত রকম বিচিত্র খাবার ওঠে।
বাবা অতি উৎসাহে কিনতে চলেন সব রকম। ঠাকুমা ঠেকানোর চেষ্টা করেন প্রাণপণে।

আরে বাবু, পৌঁছানোর আগেই পেটটা খারাপ করবি?
তবু সব সময় কি আর ঠেকানো যাচ্ছে ?
এইসব নানা রকম রোমহষর্ক কান্ড করেই সকাল সকাল পৌঁছে যাওয়া।
স্টেশন বেনারস।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।