সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব – ৩)

বিদ্যার্থী রঞ্জন” পত্রিকাটি আমার বাবার দ্বিতীয় সন্তান। ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে এ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হবার অনুষ্ঠান হয়েছিলো।

সেদিন সাতাশে সেপ্টেম্বর, উনিশশো সাতষট্টি। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিন।
তাই আমার মাকে ইভল্যান্ড নার্সিং হোমে ডাক্তার রথীন ঘোষের কাছে ভর্তি করতে নিয়ে গেছিলেন মানিক কাকু, আর তাঁর বৌদি,আমার নীপা জেঠিমা।
আমি পর দিন সকালের আলোয় মায়ের কাছে এসেছিলাম।
আমাকে দেখতে আসতে দেরি করেছিলো, “বা”।
তাই মায়ের চিরকাল অভিমান।

” মেয়ে ত তাই খবর পেয়ে আমার সাথে দেখা না করেই পত্রিকা সামলাতে চলে গেল। “

তো, সেই আশ্বিনের সকালে আমি এলাম।
স্টিলবর্ন।
না খেতে পাওয়া মায়ের আন্ডার ওয়েট, কাগজের মত সাদা বাচ্চা।
সে বছর জানুয়ারি মাসে বা-র অফিস আর এস এন কোম্পানিতে লক আউট হয়ে গিয়েছিল।
ঠাকুমা, দুই কাকা, বাবা আর না -হওয়া আমাকে নিয়ে এ পরিবারে মা তখন একমাত্র ” আর্ণিং মেম্বার “।
“বা” লড়াই শুরু করেছেন পত্রিকা আর গড়িয়াহাট বুলেভার্ডে শাড়ির দোকান, ” মহারানি” কে দাঁড় করাতে।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!