T3 || স্বাধীনতার খোঁজে || বিশেষ সংখ্যায় রিতা মিত্র

ঘুমের দেশের নাগরিক

পলাশ দত্ত রেল দফতরের পি এফ সেকশন চাকরি করেন। অফিস খিদিরপুর গার্ডেন রিচ।
থাকেন বনগাঁ।
অফিসে কাজের চাপে মাথা তুলতে পারেন না।
। কত রকমের আব্দার নিয়ে টেবিলে হাজির হয় লোকে। গ্রুপ ডি কর্মচারীদের সংখ্যা বেশি যারা প্রতি মাসে পি এফ থেকে টাকা তোলে। তাদের দরখাস্ত পলাশকেই লিখে দিতে হয়। কত রকমের কারণ টাকা তোলার।
কারুর মেয়ের বিয়ে। কারুর দেশের বাড়িতে বাবা মা অসুস্থ। কেউ জমি কিনবে।
জীবনের তিরিশ বছর কেটে গেল এই সব অজুহাত দেখে।
নিজে অবশ্য কোনোদিনই পি এফ থেকে টাকা তোলেননি।
অফিসে লোক কমে যাচ্ছে। নতুন রিক্রুটমেন্ট নেই। প্রায় প্রতিটি মাসে দশ থেকে পনেরো জন রিটায়ার্ড করছে।
আর এক বছর পর তিনিও রিটায়ার্ড করবেন।
বেশ কিছু দিন ধরে বুকে একটা অশ্বাস্তি হচ্ছে। ডাক্তার দেখানোর সময় করে উঠতে পারছেন না
আজ সোমবার। অফিসে আসার পথে ক্লিনিকে ডাক্তার কাছে নাম লিখিয়ে এসেছেন।
রাত আটটায় ডাক্তার বসবেন।
আজ হাফডে অফিস করে বাড়ির পথ ধরলেন পলাশ বাবু।
পাঁচটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে গেলেন। চা খেয়ে, গিন্নি ও মেয়েকে বললেন ঘুম পাচ্ছে। একটু শুয়েনি।
সময় মতো উঠে ডাক্তারের কাছে যাব।
রাত নটা। ঘুম ভাঙলো না। আজ ডাক্তার ঘরে এলেন। বললেন , ‘ ওর আর কোনোদিন কোনো অসুখ হবে না। এখন থেকে ও ঘুমের দেশের নাগরিক। ‘
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!