তুমি একবার তাকাবে বলে
পতিতালয়ের মেয়েদের মতো উদ্ভট সাজে কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে থাকি ঘড়ির কাঁটা দেখে
তুমি যদি কথা বলো?
মুখ থেকে সস্তা সিগারেটের গন্ধ তাড়ানোর জন্য দু’টাকার চ্যুইংগাম চিবোতে থাকি অবিরত
তুমি যেন দরিদ্র না ভাবো
তাই বন্ধুদের ধার করা পোষাকে
পাল্টাই নিজেকে প্রতিদিন
তোমার গিফটের প্যাকেটের জন্য
প্রতিদিন সাফা করি দরিদ্র বাবা’র পকেট
সস্তা বাজার করে টাকা বাঁচিয়ে ধোঁকা দেই মা’কে
বাসি ভাত খেয়ে কলেজে যাওয়া ছেলেটাই
বিকেলে চাইনিজ রেস্তোরায় মেন্যুবুক দেখে
খাবার খেয়ে মুক্ত হাতে “টিপস” দেয়
সার্ভিস বয়কে এক আশ্চর্য সাবলীলতায়
তোমাকে পাওয়ার আশায় দরিদ্র ঘরের মেধাবী ছেলেটাই ছিঁড়ে ফেলে “পিতা-মাতা”র স্বপ্ন বুনন
হঠাৎ কেন জানি তুমি হলে নিরুদ্দেশ
কত যে খুঁজেছি
এপাড়া-ওপাড়া, পরিচিত, বন্ধু-স্বজন
জেনেও বলেনি কেউ
“বিত্তবানের বধু” সাজবার মধুরতম মূহুর্তের কথা
নিজেকে ভেঙ্গেছি বারংবার
সময় পাল্টায়, পাল্টালাম নিজেকেও
আবারো শুরু করলাম শুন্য থেকে
অবশেষে আশাহত “পিতা-মাতা”র স্বপ্নকে
পূর্ণ করলাম,
এখন আমি এ শহরের একজন প্রথিতযশা ডাক্তার
চেম্বারের সরু বেডটাতে শুয়ে আছো তুমি-
এক ডিভোর্সি নারী
তোমাকে এক চিলতে দেখবো বলে
একদিন যাকে বাবার টাকা চুরি করতে হয়েছে
আজ দেন মোহরানা’র টাকা দিয়ে
সেই তুমি শরীরের সবটুকু দেখাতে এসেছো
এখন তোমার রোগটুকু ছাড়া
আর কোন কিছুই দেখবার
রুচি নেই যে প্রিয়!