অণুগল্পে রত্না দাস

পিন
রিজুলা দেখলো বস চোখগুলোকে পুরো সার্চলাইট করে ওর ক্লিভেজে আলো ফেলছে।
ও আরেকটু ঝুঁকে বসলো, ভাবখানা কত দেখবি দ্যাখ।
বস অত্যুৎসাহে সামনে এগিয়ে আসে। রিজুলার দুআঙুলের ফাঁকে ধরা একটি আলপিন।
বসের হাতটা কাঁধে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই, আঃ আঃ আর্ত চিৎকার। পিনটা পুরো আঙুলে গেঁথে গেছে।
একটা মদির কটাক্ষ হেনে রিজুলা বসের কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে।
ও জানে এরপর চাকরিটা হয়তো আর থাকবেনা। তাতে কি! চাকরি আসবে যাবে, কিন্তু ও টিকে থাকবে ওর অনমনীয় জেদ নিয়ে।
কিভাবে কাকে কতটা প্যাঁচ কষে হারানো যায়, এই রিসার্চটা চলতে থাক। শুধু ও জানে ওকে লড়াইটা যে কোনও মূল্যে জিততে হবে।