জন্মের প্রথম শুভক্ষন – এ প্রদীপ সরকার (গুচ্ছ)

কৃত্রিম বসন্তে

পশ্চিমের পাহাড়চূড়া রোজ হোলী খেলে,
পূবের আকাশে প্রতিদিন ফাগোৎসব;
দিগন্তে, তেপান্তরে প্রহরে প্রহরে লাগে দোল,
ফাগুন আসুক বা না আসুক,বনান্তে সন্ধ‍্যা নামে
মাথায় লাল কমলা আবির মাথায় মেখে।

এতো প্রসাধনী রংয়ে সাজিয়েছি মুখ
বর্ণময় ঝলমলে পোষাকে ঢেকেছি শরীর
সুগন্ধী ছিটিয়ে সুরভিত রেখেছি চারপাশ
তবু মৌমাছি গুঞ্জন নিয়ে আসেনি ফাল্গুন
আমার মনের চৌহদ্দিতে হাজার বছর।

বসন্তের কৃত্রিম আয়োজনে কোকিল ডাকেনি
আবিরে পাইনি পলাশের পাঁপড়ি চূর্ণ
সেদিনই পিছন পথে মন ফেরারি
সেপথে হেটমুন্ডে দাঁড়িয়ে আছে
বসন্তের স্মৃতিসৌধরা সারি সারি।

পরে পাওয়া চোদ্দআনা নয়

তুমি যারে মেরেছো ফাল্গুনে
পুড়িয়ে ভাসিয়ে দিয়েছো দখিন হাওয়ায়
তার সুরভি যদি ভাসে চৈতালী বাতাসে
উড়ে যদি আসে তার ছাই
এ বসন্ত ষড়যন্ত্র করেছে তোমার সাথে
সে কথা বোলোনা দোহাই।

যদি বুনে থাকো কাপাশের,শিমূলের চারা
সে গাছের যৌবন এলে
শীত-বসন্তের সীমানায় তুলো ওড়াবেই।
যদি কোনো মোহিনী সন্ধ‍্যায়
সোহিনীর সুর কাটো অবহেলায়
মালকোষও মাঝরাতে ফেরাবে তোমায়।

যাপনের যা কিছু উপাদান
আপন রোজগার কি মাধুকরী
নিমেষেই সব গিলে নিতে পারে ছত্রাক
অথচ না জেনেই যা পেয়ে যাও
সে তোমার আনন্দ কি যন্ত্রণা
তাই ভেবে হ’য়োনা অবাক।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!