T3 || বিশ্ব কবিতা দিবস || সংখ্যায় পার্থজ্যোতি

নিছক প্রেমের কবিতা
এ্যাতদিন পরে জেনে গেছি
সখী, ভালোবাসা কারে কয়।
“জীবন খুঁজে পাবি রে তুই
ছুটে… ছুটে… আয়”
নেচে-নেচে
সেদিন গাইছিল অনুরাধা
কলেজের নবীন-বরণে
মানে, আমাদেরি শুভাগমে
অন্তত সে আমারি কারণে!
খুবভালো লাগছিল সে-গান
দুরুদুরু বুক গুরুগুরু
তৃপ্তির পরম মোহাবেশে
বোকাছেলে বোঝেইনি শুরু।
যেমনটা হয় আর কী, অনু
সেটাই তোমার লাস্টইয়ার!
বড়ো বলেও হয়নি সাহস
মরমে মরেছি বারেবার।
যথারীতি পাস করে তুমি
আরো পড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে
আর আমি ড্রপ-আউট করে
কথা কম! হতচ্ছাড়া… ! সয়ে
দাঁতে-দাঁত প্রতিজ্ঞা শানাই;
দোসর, উফ্ ! এই না-দেখা!
দিন… রাত… সমান-সমান
জীবন করছি শ্যামল,
একা!
কতকাল কেটেছে তারপর
ক’জন অ-বাধ্য কবি দেশে?
বি.টেক. তোমাকে উড়িয়েছে
ভালোস্বামী! সেটল্ বিদেশে!
আমি কিন্তু এখনও বেকার
মরি রোজ, শব্দ পড়ে, বাজ!
কাওয়ার্ড! মানছি তো শেক্সপিয়ার।
লে-খা-লে-খি!! অন্য কোনো কাজ?
হ্যাঁ, আছে না, আপনার কল্পনা
সেটাই এখন গুরুতর
ঝাপসা অনু আপনাকে দেখতেই;
গুরু, তুমি কিছু ১-টা করো!
কী করবো? কিছুই তো পারি না
দুদিন পরে আপনার বিয়ে
“সুখে থেকো”— বাধ্যত প্রার্থনা
“সত্যি আপনি মস্ত বড়ো, ইয়ে!”