গদ্যের পোডিয়ামে মৃণালিনী

খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার

“খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার এই তোমাদের পৃথিবী তার বাহিরেও জীবন আছে তোমরা জানো না ”
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা এই গানটি শুনলে মনটা উথাল-পাথাল হয়ে ওঠে। আমার লেখা এমনই একটা পর্যায়ে পৌঁছে যায় লেখালেখির জন্য অন্য কোন শাখায় আশঙ্কা হলেও ঢুকতে পারছি না, চেষ্টা করে দেখেছি খানিকটা এগোবার পর কলমটা যেন নিজস্ব স্বাধীনতায় স্মৃতিচারণের পথ ধরে নেয়।
যে বিষয়টি নিয়ে এখন লিখছি তাকে গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে প্রকাশ করতে গেলে প্রধান চরিত্রগুলোকে সামলাতে পারবো না বরং তাদের প্রতি অবিচার করা হবে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে অনেক কথা অনেক ঘটনা ঘাপটি মেরে থাকে,রোমন্থনের বেলায় তারা সাধারণত মনের উপরে উঠে আসে না এখানে আমার উপজীব্য চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে” অরুন্ধতী দেবী “। জমিদার বাড়িতে প্রবেশ সেই আট বছরে স্বামীর হাত ধরে নতুন জীবনে পদার্পণ স্বামীর সঙ্গে বয়সের ব্যবধান ছিল অনেকটাই তাই স্বামীর প্রতি আনুগত্য ও ভয় ছাড়া আর কিছুই গড়ে ওঠেনি। যত বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তার সমবয়সী কবি দেওরের সঙ্গে। মন, প্রাণ ভালোবাসা আত্মসমর্পণ করেছিল সে তার দেওর কে। কিন্তু এ যে ছিল জমিদার বাড়ি এখানে বাড়ির বউদের খিড়কির দরজা ছাড়া সিংহদুয়ারে পৌঁছবার ক্ষমতা ছিল না এই সম্পর্কের আঁচ বুঝতে পেরে দেওরের বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল, পেলেন না দেওরকে সে আগের মতো করে না-পাওয়ার যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে গীতবিতান কে বুকে নিয়েই সে বন্ধু করলো কবিতাকে,সেই কবিতা নিয়েই বেঁচে থাকার অঙ্গীকার করল সে খিড়কির দরজার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করতো আর না পাওয়ার যন্ত্রনা কে রূপ দিল কবিতার মাধ্যমে এই ভাবেই গড়ে উঠল অরুন্ধতীরকবিতা।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!