ক্যাফে কাব্য গুচ্ছে প্রভঞ্জন ঘোষ

কুঠুরি

কুঠুরির এঘর ওঘর হাঁ-ঘর জুড়ে
কেবল হাওয়া
হাওয়াতে বাঁশি বাজে
বাঁশরীর মধ্যগ্রামে স্থাপন নেওয়া।
মাঝেতে আঁধার ঘেরা
আঁধারে ঝিকিমিকির উঁকিঝুঁকি
জোনাকির বিজলি ঘেরা
জোত জড়োয়া।
জড়িয়ে জটের মতো দড়িগুলি
দোলে কি দোলনা?
দোলায় দুলিয়ে দেহ?
নয়রে, হায়রে কেবল মিথ্যে নাচন,
কুঠুরির বরগা কড়ির মথ্যে বাঁধন।
শিথিলের অঙ্কে গোনা সাত কুঠুরি
ঠুসিয়ে ঠুনকো মাটির হাঁড়িকুঁড়ি;
কুঠুরির দুনিয়াদারির মথ্যে আশা
সে পাখি ফুড়ুৎ হলে শূণ্য বাসা।

আপনজন

তোর জন্যে পরাণ হু হু করে
উদাস হয় অন্তরাত্মা-পাখি,
ছুটে যাই, মনে হয় মেখে নিই
প্রান্তরের শীতল সমীর।
মনে হয়- নির্ঘুম পার করি
আস্ত রজনী;
দুপুরের নীল নির্জন পার করি।
স্বপ্নের বাতিঘরে দিয়ে যাস
বেলোয়ারি ধ্বনি!
দূর হতে দূরতম রেশ দিয়ে মেঘে
এঁকে দিস্ রঙে-দীপে রূপের বিজুরি।
দূরে যাস, কাছে এসে
ফের দূরে-দূরে
এই দেখি, তা আবার
কোথায় ফিরিস!
সে আমার ধরনীর অবশ হরনী
আকাশের অ্যাঞ্জেল, অতি প্রিয়জন
নামখানি বিরচিব অঘ্রানে ‘খন।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।