হৈচৈ ছোটদের গল্পে প্রভাত ভট্টাচার্য

বুমেরাং
ঋক আর দিয়া, দুই ভাইবোন। দিয়া এক বছরের বড়, তাই দিদি দিদি ভাব।
তাদের কাকা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল একটা কাজে, এখন ফিরে এসেছে । ওদের জন্য নিয়ে এসেছে বুমেরাং। কাঠের তৈরি ,সুন্দর কাজ করা। ওদের খুব পছন্দ হয়েছে জিনিসটা। ঠিকমত ছুঁড়তে পারলে আবার নাকি ফিরে আসে তার কাছে। কাকা বলেছে যে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবঅরিজিনাল লোকেরা এই বুমেরাং ব্যবহার করত শিকার করার জন্য কিংবা যুদ্ধের সময়।
তাহলে এটা ছুঁড়ে পরীক্ষা করা যাক। দিয়া বলল।
হ্যাঁ হ্যাঁ, খুব ভালো হবে। ঋকের উৎসাহ আর ধরে না।
চল তাহলে বাগানে ।
ওদের বাড়ির সামনে একটা ছোট্ট বাগান। সেখানে গেল দুজনে।
এবারে ছুঁড়ছি তাহলে। বলে দিয়া বুমেরাং ছুঁড়ল।
ওফ !
আওয়াজ শুনে দুজনে তাকিয়ে দেখে বাবা, ডান কাঁধে হাত দিয়ে রয়েছে ।
সরি বাবা, খুব লেগেছে ? দিয়া বলল।
না তেমন নয়।
আসলে আমরা বুমেরাং ছুঁড়ে দেখছিলাম।
ঠিক আছে। নতুন জিনিস নিয়ে পরখ করা ভালো। আমি মোটেই রাগ করি নি। ছোটোবেলায় আমারও এরকম একটা ব্যাপার হয়েছিল।
তাই নাকি? কি হয়েছিল ?
বলবো। চলো ভেতরে।
দুজনে বাবার সঙ্গে ভেতরে চলল।
ভেতরে গিয়ে বাবা বলল, একদিন স্কুলে আমরা ক্রিকেট খেলছিলাম, আমার একটা শট গিয়ে লাগল আমাদের অঙ্ক স্যারের গায়ে। স্যারের লেগেছিল, কিন্ত আমাকে কিছুই বলেননি সেজন্য । বরং বলেছিলেন, গুড শট।
বাঃ, বেশ ভালো তো। বলল ঋক।
সব শুনলাম। মা কখন চলে এসেছে। কিন্ত ঘরের মধ্যে বুমেরাং ছুঁড়লে কিন্ত আমি ভীষণ রেগে যাবো।
ঋক বুমেরাংটা টেবিলে রেখে দিল।