গদ্যের পোডিয়ামে পিয়াংকী – ধারাবাহিক (দ্বিতীয় পর্ব)
ওরফে তারাখসা এবং তুমি বালক
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। রক্তাক্ত জখম থেকে টেনে এনেছি তোমার চুল। না, ভেজেনি কিছু। ছিঁড়তে গিয়ে খুবলে নিয়েছ শহরের অলিখিত দরজা। ডামাডোলের এই সংসারে ছিটকানির জরুরথই-বা কী! আলুর দোষ যদি খেয়ে নেয় শাড়ির আঁচল কীই-বা বলার থাকে! রাইবেলীর থোকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অবোধ বালিকা। বয়স আনুমানিক সাড়ে-সাত আট। রক্তস্রাবের সময় হয়নি বলে ওকে কেউ সন্দেহ করছে না। ট্রেন ছাড়েনি, থেমে আছি জংশনে। এখানে পূণ্যার্থী বসে থাকে জলের আশায়। সেই জল কখনো ওই বালিকার মতো কখনো কুকুরের হাহাকার জিভ।
বাদামের খোসা দেখো,কেমন উড়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ঢালের দিকে। ঢাল প্রবল। সমভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে যে প্রেমিক, সে বুকের খাঁজ বোঝে, বোঝে অধরা কুসুম অথচ ঝুম চাষে তার মন নেই। আমি সেই ট্রেনেই এখনো। জংশন ছেড়েছি। এগিয়ে গেছি নির্দিষ্ট তারিখে। কৃষ্ণচূড়া নেই। বাদাম বিক্রি হচ্ছে খোসাহীন। কোথাও কোনো সাদাস্রাব-বালিকা চোখে পড়ছে না। আসলে এই পৃথিবীতে সকলেই ঋতুমতী। অনিয়মিত জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে আমাদের লজ্জা। ঘোমটা টানা একুশ শতক শীতকে রেখেছে কোমরে। এই সেই কোমর যার জন্য তুমি গিলে নিচ্ছ পচাগলা এঁটো।
আরেকটু এগোলেই রডোডেনড্রন। তারও সামনে ঝুরো বরফ। ট্রেন চলছে। সন্তাপ আছে এমন কোনো ভূমিকা রাখিনি। অর্কিডে কতটা জল ঢালতে হয় তা তো শেখায়নি কেউ। তবু ক্যাটলিয়া ফুটলে নিজেকে ধন্যবাদ দিই, কৃতজ্ঞতা জানাই সেই পিয়াংকীকে যে ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেপেছে ওর ক্ষীণ হার্টবিট। এসব একার নয়, একার নয় সেই মেয়েটির আকাশচোখদুটিও। বরং এটুকু লিখতে লিখতে যা যা ভেবে চলেছি, যা লিখছি না, একার ততটুকুই। ব্যক্তিগত গদ্য শুধুই ব্যক্তিগত। বাকি, মুক্তগদ্যের নামে এই পৃথিবীর উপগোলাকার উপস্থিতি…