কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আহমেত কামাল (গুচ্ছ কবিতা)

অ-বিনয়ী ভাগ্য

স্বপ্ন গুলো ভাসতে লাগলো নদীতে,,,,

যেনো ভেসে আসা পলিথিন,,
ছেঁড়া জিন্সের প্যান্ট
চিপস্ এর খোসা
বেনামি প্যাকেট।

আজ আহমেত সেবার বাগানে কদম ফুঁটেছে। ছেঁড়া
আর রক্তে ভেজা।

আমি যাব না। আমি যাব না গোমতী কিংবা মহানন্দার তীরে।

হারুন’কে যেদিন বন্ধু ভেবেছি কিছুটা সময় খরচ করি
ভেজা আর
মর্মর আবহে।

ও অতোটা বিনয়ী নয়। তবুও আমাকে রোজ লিখে রাখি
রক্তের হলাহলে।

পৃথিবীর সবগুলো নদী মিশে যাচ্ছে,, আমার কষ্টে।

আমি আর শূন্যতা

একটা ধূসর সকাল

ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে,,,
ভাত শালিকের মা।

টাওয়ার দখলে রাখা পাখিও’রাও উড়ে যাচ্ছে মহানন্দার দিকে,,

যেখানে আমার চোখ
রোজ সেলাই করে থাকে নদীর কথাবার্তা।

আমিও যাচ্ছি,, তবে আমার পাশের সিটে বসে আছে

শূন্যাতা।

শূন্যতা আমাকে বারবার ছুঁয়ে দ্যাখে

ভেতরে কত জ্বর!

 

গর্ত

দেহ ফেটে বের হয়ে যাচ্ছে সময়
আয়ু ফেটে বের হয়ে যাচ্ছে সময়।

সময়ের প্রতিকুলে দাঁড়িয়ে দেখছি
আপনজনদের মুখ
পিছলে যাচ্ছে,,, আয়নায় জল ফোঁটার মতো।

হে নদী
হে অরণ্য
হে বসন্ত
হে সময়_

কপালের গর্তে ঢুকে পড়েছি । এবার রোজ রান্না করে খাব আগুনের আংটা।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!