সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে পিয়াংকী (সাবেক কথা – ২১)

সিরিজ – সাবেক কথা

নামাবলী 

এক যুবক। বিস্তৃত তার পথ। সেই পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাহারি ফুল। রঙিন সেসব ফুলের ওপর এক আঁধারিয়া । যেন এক আলোর খেলা। যুবক হেঁটে যাচ্ছেন। তার গায়ে জড়ানো নামাবলীতে অক্ষত আছে পূর্বজন্মের দাগ। সেসব দাগে এসে বসছে প্রজাপতি। কারুকাজ। সম্মিলিত জ্যোৎস্না আচমকা এসে পড়লে যেভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বক, যেভাবে গোধূলি এসে ঢেকে দিলে তারা-রা চাওয়াচাওয়ি করে পরস্পর সেভাবেই যুবকের সর্বাঙ্গে রোদ। নামাবলী সেই রোদের কথাই লিখে রাখে যত্নশীল ফিনিক্সের মতো। যুবকের ভিতর দিয়ে হেঁটে যায় একটি সভ্যতা। এক মোহ গিলে নিচ্ছে যাবতীয় ঋণাত্মক।

উত্তরীয় থেকে খসে পড়ছে ঋষিবাক্য। প্রতিটি বাক্যে সংযোজিত হচ্ছে পাখির শরীর, পালকের মতো পেলব সেই শরীরে নিরাময়ের উপাখ্যান। যুবকের আশেপাশে প্রচুর নক্ষত্র, সে কুড়িয়ে তুলছে সমস্তটা। নদীর বাঁক বদলের গল্পে জেগে আছে আবির্ভাব। উত্থান। সারসের ঠোঁট আর পানকৌড়ির জলডাক,,উপেক্ষার চাইতে বড় জবাবদিহি যে হয় না তা একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছে ভোরের সূর্যতে রাখা আগুনে। যুবক নিশ্চুপ। নিস্তব্ধতা তার ভিতরঘরে। অপলক দৃষ্টিতে ঝরে ঝরে যাচ্ছে মায়া।নামাবলী লিখে রাখছে এই সমস্ত হিসেব, গুনে রাখছে পরজন্মের কর্মফল

১৮ ই বৈশাখ
শান্তিপুরগামী লোকাল ট্রেনের কামরা
দুপুর ১১:০৮

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!