সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব – ৩)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁট 

আজ ভীষণ গরম৷ ব্রহ্ম নিয়ে আলোচনায় ঘাম জমছে৷ দু দুটো ফ্যান নিয়ে আমি ও আমার আত্মা বিছানায় লেপ্টে আছি৷ সূর্য জ্বলছে বুকের তলায়। কে তুমি? একটু আড়াল চাইতে জানালা বন্ধ করো- তোমার স্বরে দ্বৈত রথ, চাকায় মাটির নালক। তবু তোমার ভালো হোক।

শুভ হোক জোনাকি রঙের রিক্ত চাঁদ। দীর্ঘ ভালোবাসার পর জানিয়ে দেব ঠোঁটের নিচে অধিবাসের তিল৷ তিলের ভিতর আস্ত ব্রহ্মলোক – পৃথিবী ঘুরছে নিজের মতো, শুধু ছড়িয়ে পড়ছে রক্তমুখী নীলা। এসো প্রিয়, যজ্ঞে বসি। চেতনার পাটাতনে তুলসীগন্ধের আকাশ৷ সাথে অজস্র মেঘ৷ ভুলে যাচ্ছি কয়েকটা শালুক লাগবে৷ ফড়িং-য়ের ভনিতায় দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বত্থ গাছ। এই সমস্ত উপাচার কেবলমাত্র নির্মাণশিল্পের বড়াই।

আমার কোন বড়াই নেই। মিলিয়ে যাওয়া আছে। ছায়াপথ ধরে ওই দূরে আমাদের যামিনী যাপন; হাতদুটো ঠেলে আছে নিঃশ্বাসের সুগভীর। তুমি কি এখনও আয়না কিনতে ব্যস্ত? হাতে হাতে টুসকি ঘুঙুর। ফিরে এসো, আমার বসার ঘরে ফিতে বাধা বাতাবিলেবু। ঈশ্বর চেয়েছিলেন সমস্ত যোগাযোগের ভেতর অনুপস্থিত চোখগুলো নিজেদের ঊষর ভূমি মনে করে অসহায় হরিণের বেষ্টন ঠেলে দিক। আর আমরা বাতাবিলেবুর খোসা ছাড়িয়ে দেখব শরীরের ভেতর বিস্ফরিত ব্রহ্ম। হতবিহ্বল মূর্তি পেরিয়ে যাতায়াত, মিলন, পূর্বরাগ। যেখানে আমাদের জন্ম হয়েছিল; যেখানে আমরা প্রথম কথা বলেছিলাম – জলের ভিতর পাপড়ি খোলা ভোর।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।