কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে নিতাই চন্দ্র দাস

মৌনভঙ্গ

ভোরের নিরবতা ভেঙ্গে পাখিরা জাগে
ধরনীর নিদ্রা অবসান সুললিত রাগে।
রাতের প্রতীক্ষা শেষে
প্রাতে সূর্য হাসে
অরুণ আলোয় রাতের আঁধারের অবসান
নিরবতা শেষে গেয়ে উঠে মিলনের ঐকতান।

সমুদ্রের বিশাল জলরাশি
আন্দোলিত সমীরন পরশি
নেচে উঠে উন্মত্ত কাল নাগিনী রোষে
সমগ্র বন্ধন ছিন্ন করি মুক্তির উল্লাসে।

হৃদয়ের পুঞ্জীভূত বিষাদ
গুমরে করে আর্তনাদ
ঝরনা হয়ে কেঁদে ভাসে পাষাণ গিরি
মনের ব্যাকুলতা প্রকাশে অশ্রু সঞ্চারী।

প্রকৃতির সকল কিছু
পরিবর্তনে ছোটে পিছু
হৃদয়ের গভীর কোণে জাগ্রত হয় প্রতিবাদ
বন্ধন ছিন্ন করি পেতে চায় মুক্তির স্বাদ।

সমাজের বিবেক যারা
শীত নিদ্রায় তারা
ভালো মন্দ হারিয়ে আঁধারের পথযাত্রী
সব বিসর্জন দিয়ে মোহাচ্ছন্ন দিবারাত্রী।

লাঞ্ছিত বঞ্চিত জনতা
ঐক্য দোষে নিরবতা
কখন উঠিবে জাগি মুক্তির সংগ্রামে
কন্টক বাঁধা পেরিযে জোর কদমে।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!