ক্যাফে কাব্যে নন্দিনী

বারণ

ও মেয়ে, তোর হঠাৎ হঠাৎ জোরে জোরে হাসা বারণ
এত লড়াই, যুদ্ধ করে
সহানুভূতি না কুড়িয়ে
নিজের চোখেই চোখ মিলিয়ে
গটগটিয়ে হাঁটা বারণ।
ও মেয়ে, তোর মনখারাপে চোখের জলে
ভেজা বারণ
নিরাপত্তার বেষ্টনীতে খাওয়া পরার নিশ্চয়তায়
ভালোবাসার অভাববোধের ন্যাকামিতে
পোড়া বারণ।।
ও মেয়ে তুই স্বাবলম্বী, যোগ্য অহং
থাকা বারণ
স্বামী সেবা,সন্তান পালন
নারীর ধর্ম, নারীর করম
সে সব ফাঁকি দিয়ে তবেই
কর্মস্থলে আসার কারণ।।
ও মেয়ে তোর বেকার বেকার ঘরে বসে
থাকা বারণ
কি বা এমন কাজ আছে,শুয়ে বসে অনায়াসে
মেকি সুখের দুনিয়াতে আয়েস করে
ভাসা বারণ।।
ও মেয়ে তোর হৃদয়ের কুল যখন তখন
ভাঙা বারণ
বেহিসেবী, বেপরোয়া
নাই বা হলি
শান্ত ঘরোয়া, লক্ষ্মীমতি বিশেষণেই
নারীজন্ম সার্থক রূপায়ণ।।
ও মেয়ে, তুই চলতে চলতে ক্লান্ত ভীষন
বলা বারণ।
শুনে ফেলে কেউ বা পাছে
দেওয়ালের ও কান যে আছে।
এসব কথা ফিসফিসিয়ে নিজের কাছেও
বলা বারণ।
রাখিস ভীষন গোপন কোণে
চিলেকোঠায় সংগোপনে
ধূলো ঝেড়ে আদর করে
নিজের সাথে দেখা যখন।।
বলতে পারে হঠাৎ কখন
আড়াল খূঁজে যখন তখন
মন বলবে ‘ধূর বোকা মেয়ে,
আমি কিন্তু করিনি বারণ।।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!