বুদ্ধিজীবীর রক্তে রাঙানো – লিখেছেন মৃদুল শ্রীমানী

বুদ্ধিজীবীর রক্তে রাঙানো

এক উদ্ভট শর্তে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন দেশনেতারা। পঞ্জাব ও বাংলা, উপমহাদেশের এই দুটি সবচেয়ে প্রতিবাদী প্রদেশকে দু টুকরো করে অজস্র লাশ ডিঙিয়ে এল খণ্ডিত লজ্জিত স্বাধীনতা।
পূর্ব পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন বাংলা ভাষী। পাকিস্তানের শাসক জোর করে তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেয় ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের অসম্মানজনক জীবনে ঠেলে দেয়। এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের যৌবন।
এই যুদ্ধের সমাপ্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় পশ্চিম পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে। সেটা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। মুক্তি পেলেও স্বাধীন বাংলা যাতে চিন্তা ভাবনায় চারিত্র‍্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন‍্য জঘন্য পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশের সেরা সেরা বুদ্ধিজীবী লেখক সাংবাদিকদের খুন করায়। এই নারকীয় হত‍্যাকাণ্ডের তারিখটি ছিল ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
এর পরে বারে বারে বাংলাদেশে মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীর উপর আক্রমণ হয়েছে। মতপ্রকাশের জেরে দেশছাড়া হয়েছেন লেখক সাংবাদিক।
অর্থাৎ পাকিস্তানের কবলমুক্ত হয়েও রাহুমুক্তি পূর্ণমাত্রায় ঘটে নি। বাংলাদেশে।
তবুও বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেন একটা যথার্থ মুক্তবুদ্ধি বাংলাদেশের। সেই যথার্থ সোনার বাংলা হবে কোনোদিন, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের মানুষ ১৪ ডিসেম্বর, আজকের দিনটি বুদ্ধিজীবী শহীদ দিবস পালন করেন।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!