মার্গে অনন্য সম্মান মিতা দাস বিশ্বাস (সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১১৪
বিষয় – শান্ত প্রতিবাদ

নীলাঞ্জনা

নীলাঞ্জনা তুমি শান্ত একটি মেয়ে এটা আমি জানতাম,
আমি জানতাম দশ চড়ে রা করে না এমন মেয়ে নিলাঞ্জনা,
দুর থেকে শ্রদ্ধা নিয়ে আমি তোমাকে শুধু দেখতাম।
কালো ছিপছিপে একমাথা চুল নিয়ে আমার নিলাঞ্জনা তুমি,
অদ্ভুত এক সৌন্দর্যের লালিমা নিয়ে তুমি ছিলে তখন বড়োই দামী।
অদ্ভুত এক ব্যক্তিত্বের বেড়াজালে নিজেকে বেঁধে রেখেছিলে সবার কাছে,
সজাগ থাকতে আত্মসন্মানে আঁচ লাগে না চরিত্র মাঝে।
কতো না যুদ্ধ করেছিলে সারাজীবন ধরে নীলাঞ্জনা,
তোমার স্মৃতি আজও আমাকে করে আনমনা।
অপরাধী আমি তোমার কাছে এই উপলব্ধি আজ আমার,
খুবই কষ্ট নিয়ে কেটেছে সারাটা জীবন তোমার।
সেই ছোট্ট বেলা থেকে তুমি সব অত্যাচার আমার তুমি সয়েছিলে,
অকুন্ঠ ভালোবাসা নিয়ে হাসিমুখে সবটা সয়েছিলে।
আমার ভালোলাগা, মন্দলাগা সবই ছিল তোমার জানা,
নিষ্ঠুর আমি তোমাকে নানা ছলে নানা ভাবে দিতাম শুধু তানা।
এখন প্রশ্ন করি নিজেকে আমি বারংবার,
এতই অবোধ আমি বুঝিনি কেন নীরব কষ্ট তার?
কেমন শান্ত প্রতিবাদ করে গেলে নীলাঞ্জনা শেষবেলায়,
আমাকে একা ফেলে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে অবলীলায়।
একটুও বুঝতে দাও নি নিঃশেষ করেছ নিজেকে নীরবে,
বুঝতে দাও নি হটাৎ করে এই বোকাটাকে ছেড়ে চলে যাবে।
তোমার চাওয়া তোমার ইচ্ছের মুল্য দিই নি কোনোদিন,
নীলাঞ্জনা আক্ষেপ শুধু তোমার কাছে থেকে গেল অনেক ঋণ।
তক্তাপোষের তলায় তোমার লেখা বইটা হাতে নিয়ে আমি বসে,
নিজের মনের ব্যাথা না পাওয়া সব লিখে গেছ নির্মিশেষে।
ভালোবাসা আর ত্যাগ দুটোরই প্রতিমুর্তি ছিল আমার নীলাঞ্জনা,
কেন আমি তোমাকে করেছিলাম সারাটা জীবন প্রবঞ্চনা।
সবাই আজ ছেড়ে গেছে আমাকে ছেড়ে চিরদিনের মতো,
এটাই পাওনা আমার তবুও আমার পাপের শাস্তি হলো না পর্যাপ্ত।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।