জীবন ফিরে পেতে চায় জীবনের ছন্দ,
মৃত্যুও ফিরতে চায় জীবনের আঁচলে।
মানব – মানবীর উচ্ছ্বাস প্রবাহে , স্পর্শে,অনুভবে ,জীবন জীবন্ত হয়।
আকাশে বিদ্যুতের চমকে মৃত্যুর
অশনি সংকেত স্বাক্ষরিত হয় ,
আবার বর্ষাধারার জলবিন্দু নতুন সবুজের ইঙ্গিত নিয়ে আসে।
গুহামানবের গুহাচিত্রে শিকার হওয়া শিংয়েল হরিণের শাখা – প্রশাখাময় শিংয়ে শ্বাশত মৃত্যুর ছোঁয়া,আর গুহামানবীর তৈরি
পশু -চর্ম পোশাকের প্রতিটি অস্থি সুঁচের সেলাই এর মাঝে মৃত্যুর
স্পর্শ,গন্ধ, আর বীভৎস রূপ ।
এক জীবনের বলিদান এ অন্য জীবনের পোষণ আর সংরক্ষণ ।
তবু এই মরণের মাঝে জীবনের
জয়গান,জীবন সংগ্রামের ইতিহাস রচনা করে।
প্রকৃতির নিয়মে,জীবন আর মৃত্যুর
চিরন্তন পরিক্রমার পূর্ণ বৃত্তের সীমার মাঝেও জীবনের যাত্রাপথ অসীম।
তাণ্ডবের রুদ্র রূপের সাথে মৃত্যুর কুয়াশা ঢাকা পথ,আবার আলোকিত হয়,সূর্যের কিরণ ছটায়,নতুন উত্তাপে
জাগে নবজীবনের আগমনী গান।
তাই মৃত্যুই শেষ নয়,মৃত্যু – মৃত্যু নয়,
সময়ের সীমানায় শুধু এক বিবর্তন।