• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে কুণাল রায় (পর্ব – ৪)

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা

দ্বিতীয় অধ্যায় প্রথম ভাগ: সাংখ্য যোগ

সঞ্জয় হস্তিনাপুর নরেশকে বললেন যে অর্জুনকে যখন সম্পূর্ণ রূপে বিষাদ গ্রাস করেছে এবং তাঁর দুই নয়ন বারিতে ভরে উঠেছে, তখন শ্রী কৃষ্ণ বললেন যে বিপদের সময় মোহ তাঁকে কি রূপে গ্রাস করল! তিনি আরও বললেন যে এই মোহ বীর এবং মহৎ লোকদের শোভা পায় না। এটি স্বর্গের পথের অন্তরায় এবং সাধারণ জন তাঁকে নিন্দা করে।
তিনি অর্জুনকে উদ্বুদ্ধ করলেন যুদ্ধ করবার জন্য। তাঁর মত বীরের এই রূপ আচরণ শোভা পায় না।
অর্জুন তখন ভগবানকে বললেন যে তিনি কি রূপে পূজনীয় ভীষ্ম এবং গুরু দ্রোনের সাথে যুদ্ধ করবেন?
তাঁদের না বধ করে, পৃথিবীতে ভিক্ষা করাও অধিক শ্রেয়। তাঁদের বধের পশ্চাতে সকল রক্তস্নাত ধন সম্পদ ভোগ করতে তিনি ইচ্ছুক নন। এতে পরলোকে পাপ ভাগী হয়ে গুরুতর শাস্তি পেতে হয়।
তিনি আরও বললেন যে যুদ্ধে জয়লাভ যেই করুক না কেন, কোনটি শুভ তিনি তা বুঝতে অক্ষম। যাঁদের বধ করে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না, সেই সকল দুর্যোধন এবং তাঁর ভ্রাতাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
অর্জুনের মন আরও আকুল হয়ে উঠল। তিনি কোন ভাবেই ঠিক করতে পারছিলেন না ,কোনটি ঠিক , কোনটি বেঠিক।তিনি বারবার বাসুদেবকে অনুরোধ জানাতে লাগলেন তাঁকে বলবার জন্য যে কোনটি তাঁর পক্ষে শুভ হবে।তিনি মধুসূদনের স্মরণে এসে তাঁর উপদেশ প্রার্থণা করলেন।
অর্জুন বললেন যে উনি বুঝতে অক্ষম যে কোন প্রকারে তাঁর সকল দুঃখ দূর হবে। পার্থিব রাজত্বে যেখানে শত্রু অবর্তমান না স্বর্গের দেবতাগণ যাঁদের ওপর প্রভুত্ব করতে পারলে, তাঁর সকল বিষাদ দূর হবে।
এদিকে সঞ্জয় বললেন যে শত্রু দমনকারী এবং মহৎ অর্জুন শ্রী কৃষ্ণকে বললেন, “আমি যুদ্ধ করব না ” এবং রথের ওপর চুপ করে বসে থাকলেন ।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।