মেয়ে দেখতে গিয়ে বিনোদের মা খুব খুশি। অলকা ফেসবুকের মেয়ে হলেও খুব সুন্দরী । ছেলে ভুল করেনি। মেয়েটি যখন তাকায় মনে হয় দুটি চোখে কত মায়া। কী নিস্পাপ মুখ।
একসময় ফেসবুক খুললে বিনোদের উপর রাগ হত। এখন মনে হচ্ছে ছেলেটা ভুল করেনি।
মেয়ের বাড়ির লোকেরাও বিনোদকে দেখে খুব খুশি। কথা কম। মুখে হাসি।
বিয়ের দিন থেকে কত কাজ দুই বাড়ির লোকেদের। এর মধ্যে দুই বাড়ির কেউই ভালো করে কথা বলতে পারেনি বিনোদ আর অলকার সঙ্গে। সবাই বলেছে দু’জনকে খুবই মানিয়েছে। বিনোদের সবসময় হাসি মুখ। মেয়েটিও শান্ত। চটর পটর ধরনের নয়। এই ক’দিন তো কথাই শোনা যায়নি। শান্তিতে থাকবে দু’টিতে।
অলকার বাড়ির লোকের মুখে বিনোদের প্রশংসা। খুব সুখে থাকবে মেয়েটা।
ফুলশয্যার খাটে বিনোদ বুঝল অলকা বোবা। কথা বলতে পারে না। ফেসবুকেই তাদের যত কথা। কবিতা। তাই বুঝতে পারেনি। উচিত ছিল কোথাও মুখোমুখি বসা।অলকার আপত্তিতে তা হয়নি।
বাড়ির লোক দেখতে যাবে বলায় অলকা আপত্তি করেনি। ইনবক্সে লিখেছে, আমি বাড়িতে বলে রেখেছি । তোমরা সবাই এসো।
বিনোদের মনে হল হায় কেমন করে সে এত বড়ো ভুল করল। অলকার দু’বছরের মধ্যে এটা জানানো উচিত ছিল।
পরক্ষণেই মনে হল সে যে কানে ভালো শোনে না এ কথাটাও তো অলকাকে জানায়নি।