সম্পাদকীয়

সকালে হালকা লাল আর নীলের কম্বিনেশনের উপর সোনালী বুটি দেয়া তাঁত। দুপুরে ফিরোজা রঙের ঢাকাইয়ের উপর মিহি সোনালী নক্সা তোলা। দুপুর গড়াতেই স্লেট রঙের শিফন সরু সোনালী নক্সা করা। বিকেলে সূর্যাস্তের পর আবার মোটা জমির হ্যান্ডলুমের ফিকে নীলের উপর মোটা সুতোর কাজ। মাঝে কয়েক মুহূর্তের জন্য সাতরঙা তুলির টান থাকছে শাড়ি জুড়ে।
এমন করেই সাজ চলছে।
ছোটবেলায় এক বুড়ো ফেরিওয়ালা আসত পাড়ায়। লং ক্লথের কাপড় বেচতে। রঙের পর রঙ বেরত তাঁর পুঁটলি থেকে। ব্লাউজ পিস কেনা হত, কখনো বা ছোটদের ফ্রকের কাপড়। পরীক্ষার রুলের গুতোয় নীল হয়ে যাওয়া বাচ্চাগুলো রেজাল্টের রক্তচক্ষুকে কাঁচকলা দেখিয়ে অবাক চোখে বুড়োর পুঁটলি দেখত। শরতের আকাশটা বেঁধে নিয়ে আসত বুড়ো ওঁর পুটলিতে। কবে যে ছোটবেলা পুটলিতে বেঁধে বুড়ো হারিয়ে গেল মনে পড়ে না। সেই ডাকটা ‘পুজো আ আ স ছে’ রথের পরই ঘন ঘন শোনা বন্ধ হয়ে গেল।
তবু আজ যেন সেই বুড়ো পুঁটলি ভরা কাপড়গুলো আকাশেই ছড়িয়ে দিয়েছিল আকাশ থেকেই।

প্রতিমার কাঠামোতে প্রথম মাটি পড়ল ।

ইন্দ্রাণী ঘোষ

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!