সম্পাদকীয়

গণেশ ফিরে গেলেন, বিশ্বকর্মা আসছেন। গণেশ বাবাজী মস্ত শুঁড় দিয়ে হুশ করে এত্ত এত্ত জল পৃথিবীতে ফেলে পথ পরিস্কার করে দিয়েছেন আর আকাশটা বিশ্বকর্মার জন্য নীলাম্বরী শাড়ী আর লাল ঘুড়ির টিপে সেজেগুজে রয়েছে ।

সিদ্ধিদাতা কজনকে সিদ্ধি দান করলেন জানি না, আর বাবা বিশ্বকর্মার পুজো করে কজন বিশ্বকর্মা পুত্র ‘চিকা’ (ছুঁচো) না হয়ে একেবারে টেকনলজির হদ্দমুদ্দ জেনে বুঝে নিতে পেরে সাক্ষাত স্বর্গের নির্মাতা হয়ে যাবে তাও জানি না ।
ভগবান আছেন না নেই, সেই তর্ক তো পণ্ডিতরা করবেন । ভগবানকে ডাকা হয় বিপদে পড়লে, এ কথা আমরা সবাই জানি । তা এই ভগবান কারা? আদিমকালে মানুষ যখন শুধু শিকার করে আর ঘুরে বেড়ায় তখন থেকেই তাদের দলনেতা এবং নেত্রী ছিল । দল চালাতে হলে তো তেমন কাউকে লাগবেই, না হলে টিকে থাকা মুশকিল । মা দুগগা কি তেমনি কেউ? ঘ্যাচাং করে ত্রিশুলটা শত্তুরের বুকে বসিয়ে দিয়েছেন আর গ্যাল গ্যাল গ্যাল গ্যাল গ্যাল করে রক্ত বেরোচ্ছে । আহা মা দুগগার তেজ কি যে সে তেজ, তিনি যে সকলের রক্ষাকর্ত্রী । তা মা এবার আসছেন গজে, ফিরবেন নৌকাতে । ভগবান থাক বা না থাক ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরার সময় চলে এল, এই ভাবনাটাই বড় আনন্দের।

ইন্দ্রাণী ঘোষ 

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!