আরশী মনের আয়না. মন জগতে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিফলন হয় আরশীতে. কেউ সে জগতের কথা জানতে পারে, কেউ পারে না. ঝোরা এমনি এক জগতের বাসিন্দা. আরশীর জগত আর ঝোরার মন জগত কোথাও গিয়ে একাকার হয়ে যায়।
আজ অপিস যাচ্ছে ঝোরা. ৭ দিন টানা একলা যাপনের পর আজ আবার বাস্তবে ফেরা. মায়েদের সঙ্গে বেরবার আগে গল্প করছিল ঝোরা. কদিন ওরা এ বাড়ীতে থাকবেন. দু জনেই বেড়িয়ে ফিরলেন. একজন দক্ষিনে গিয়েছিলেন, একজন পশ্চিমে. কয়েকদিন এ বাড়ীতে থেকে আবার যে যার বাড়ী ফিরবেন. বাড়ীতে বেশ উৎসবের মরশুম. আকাশলীনা কলকল করছিল. মন দিয়ে তার সব কথা শুনতে হবে. কাল রাতে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল মেয়ে. আজকে রাত জাগতে হবে. অনেক কথা আছে নাকি ঝোরাকে বলার. শুনবে ঝোরা সব.
গাড়ীতে উঠে জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকায় ঝোরা. আকাশ ঝকঝকে হাসি হাসছে আজ. ঝোরা তাকিয়েই থাকে. আজ আকাশের গায়ে মেঘের লেশ মাত্র নেই. আকাশ আজ এত উজ্জ্বল যেন ফ্লুরোসেন্ট. চোখে ধঁা ধঁা লাগে ঝোরার.
আজ কপি জমা দিতে হবে. হাতে কতগুলো আরও কাজ আছে, সেগুলোর জন্য বই পত্র জোগার করতে হবে. অপিসে ঢুকে ল্যাপটপ অন করে ঝোরা. চৈনিক ইতিহাসের উপর একটা সার্ভে করতে হবে. চৈনিক স্ক্রোল নিয়ে একটা বিজ্ঞাপনের কাজ আছে হাতে. কিছু দুস্প্রাপ্য স্ক্রোলের কপি করে বাজারে ছাড়বে এক সংস্থা তারই বিজ্ঞাপনের কাজ আর সঙ্গে একটা ডকুমেন্টারি হবে. ল্যাপটপ অন করে পড়তে শুরু করে ঝোরা. এমন এক ম্যাজিক স্ক্রোলের কথা চৈনিক ইতিহাসে আছে যা আরশীর সামনে মেলে ধরে পড়তে হয়.
চমকে ওঠে ঝোরা. আরশী কথা ইতিহাসেও আছে তাহলে।