ধ্রপদী কবিতার হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭| বিকেলে প্রেমিকা

সকালে অফিস ডাকছে বিকেলে প্রেমিকা
রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখি, শ্রীরাধিকার
কান্না কান্না চোখ , ছোট মুখে ভারী চশমা যেন অল্প চেনা, সান্দ্র কী মায়া রাশি রাশি
একদিন ছিল এখন ফেনা…
সে তত নিয়ন নয় সেমিনার কাব‍্যপাঠ তারপর কবিতা স্বরচিত আরে সব স্বপ্নে, হা হা
দোহার প্রণয় সূচরিতা…
হ্রীং ক্লীং শ্বাসবন্ধ নারকেল ডাঙার ব্রীজে কখনো কখনো এখন কোথায় ? নিশ্চিত প্রথায়
ওগো সোনার হরিণ, শোনো
জীবধর্মে লক্ষ্য রাখো তাহলেই দেখবে
আমি ঠিক বদ্ধপরিকর…
তারচেয়ে হরিনামে মাতাও জগত, পাপী তাপী
জ্ঞান নিরন্তর, মনোবাঞ্ছারাম আরে বাবা
সে এতো সিডাকটিভ নয়
ধূসর স্মৃতির মতো একটা বয়সের পর কেন এমন হয় …

১৮| অন্তর্যামী

পুরুষ বলে নারী দাও, নারী বলে পুরুষ দাও
বৃক্ষ বলে জল দাও, জল বলে গভীরতা
শ‍্যাওলা বলে শালুক দাও, পদ্ম বলে কাটা
শঙ্খ বলে চক্ষু দাও বাকী সব ঘাটা আঘাটা
এত যে বারণ করি তবু সেই আকাশ রঙের শাড়ি
ঘটি হাতা ব্লাউজ , যে সব জায়গায় ঘুরি
কখন যে হয়ে যেতে পারে যশোলাভ কে পারে খন্ডাতে , সে তার ভুলের কথা কিছুই বোঝেনি
জয় মা দুগ্গা বলে আমিও পেতেছি দুহাত নদী ও আকাশ বাড়ি ও দেবালয়
রক্ত বর্ণ সূর্যদেব জানে
আর জানে অন্তর্যামী…

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!