পাথর
কেউ কেউ একটা সময় মানুষ থাকে না!
পাথর হয়ে যায়, পাথর!
যখন অসহনীয় কষ্টেও দু’চোখে
আর নামে না শ্রাবণ ঢল,
কেবলই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে ফ্যালফ্যাল,
তখন সেই মানুষটা আর মানুষ থাকে না,
পাথর হয়ে যায়, একদমই পাথর!
যখন বুকের ভিতর থেকে হাজার বছরের
পুরনো নদীর কঙ্কাল মোচড় দিয়ে
বেরিয়ে আসতে চায় অথচ পারে না
কিংবা ধরো কোনো একটা প্রাচীন সভ্যতার
শেষ চিহ্নের মতোই একদিন বুঝে যায়,
যাকে সে ভালোবাসা বলে জানতো
আসলে সে তার ভালোবাসা ছিলো না,
ছিলো তার প্রেতায়িত দুঃস্বপ্নের
না ফুরানো দীর্ঘ রজনী কিংবা
ভয়ংকর সেই পুলসিরাত পার হবার সময়!
এমন অবস্থায় পড়লে
তখন কেউ কী আর মানুষ থাকতে পারে?
পাথর হয়ে যায়, একদমই নিরেট পাথর!
কেউ কেউ কখনো মানুষই থাকে না!
দেখতে শুনতে মানুষ হলেও
আসলে সে কিন্তু পাথরই থাকে!
তার জীবনের শৈশব ছাড়া
বাকিটা সময় পাথর হিসেবেই দিন কেটে যায়!
তার শরীরে অবিকল মানুষের মতো রক্তমাংস,
চোখ, কান, নাক, মুখ ইত্যাদি থাকলেও
তার শুধু হৃদয়টাই থাকে না, ওটা থাকে একদমই নিরেট পাথরের মতো বোধহীন।