ক্যাফে মুক্ত গদ্যে মহীতোষ গায়েন
স্বপ্নদীপের মৃত্যু : কান্না ভাসে চরাচরে
খবর পাওয়া মাত্রই গাড়ি ছুটছে বালি থেকে দক্ষিণেশ্বর,দক্ষিণেশ্বর থেকে এয়ারপোর্ট,এয়ারপোর্ট
থেকে যাদবপুর,পড়ে আছে স্বপ্নদীপের নিথর দেহ,শরীরে আঘাতের চিহ্ন,চোখ বেরিয়ে এসেছে,সেই বেরিয়ে আসা চোখ দিয়ে নরপশুদের দেখছে,যাদবপুর দেখছে,তার ঘাতকদের দেখছে,মনোবিকারগ্রস্থ নরপশুদের দেখছে।
রাত বাড়ছে,থিকথিক করছে মানুষ,চাঁদের ছায়ায়,
গাছের নীচে বুক চাপড়ে কাঁদছে বাবা,কাঁদছে বাংলা,
কাঁদছে ভারত;বাড়িতে মা চুল ছিঁড়ছে আর হাহাকার করছে,মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আহত হৃদয় নিঃসৃত গান হয়ে গাছে গাছে পাতায় পাতায় বইছে।
স্বপ্নদীপ,তোর আর এম. এ পাশ হলো না,শিক্ষক হওয়া হলো না,অধ্যাপক হওয়া হলো না,একটু সহবত ,একটু বিনয়,একটু সহানুভূতি,একটু শিষ্টাচার যদি শিখতো ঐ বাপ মায়ের বখাটে মনোবিকারগ্রস্থরা তাহলে এমনটা হত না,প্রশাসনও যদি কড়া অনুশাসন জারি রাখতো তাহলে অকালে ঝরতো না একটা তাজা প্রাণ,একটা স্বপ্নের সলিল সমাধি হতো না।
এবার নতুন কিছু ভাবা ও করার প্রয়োজন জরুরি ,
যাদবপুর সারা বাংলার মায়ের,বাবার চোখের জল
থামাতে পারবে না,যতদিন আমরা সবাই মিলিতভাবে শাসনে,শিক্ষায়,মানবিকতায় পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রে নিজেদের সযত্নে লালন করতে না পারি,কি হবে এই শিক্ষার এই দীক্ষার ?
0 Comments.