Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কাব্যজোনে মনোনীতা চক্রবর্তী

maro news
কাব্যজোনে মনোনীতা চক্রবর্তী

দাফন

অনেক কিছুরই তো প্রয়োজন ছিল না। তবু নিয়মে-অনিয়মে হয়েছে। এটাই সত্যি। তুমি পাখির ফেরিওয়ালা হয়ে যাবে বা কাবুলিওয়ালা, এর কি কোনও প্রয়োজন ছিল? ছিল না। অথবা শুনশান বাড়িতে  বিভিন্ন যুগল-যাপন, তারও তো প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল, বন্ধু আর বন্ধুর বন্ধুর জন্য একটা দুধ-সাদা বিছানার না-কোঁচকানো নিরাপত্তা অথবা নিজস্ব দুপুর ভরন্ত সঙ্গীতময় করে তোলার? গানের কুঁচিতে পড়শির বড়শি-গাঁথা চোখ বিঁধে আছে যে! এরও তো কোনোই প্রয়োজন ছিল না! কিন্তু পুরো দস্তুর  নিয়মে তা হয়েছে। বাড়তে দিতেই হত। নিতান্তই চরিত্রের চাহিদা অনুযায়ী। তোমার সাথে মিনির দ্যাখা হয়? কথা হয় দেখা হলে? ও কি তোমায় খুব আঁকড়ে ধরে আগের মতোই? চমকে যেয়ো না। পাশে টিস্যু-পেপার আছে তো? ঘামছো। স্বাভাবিক, যা-গরম পড়েছে! কাবুলিওয়ালার সেই ছোট্ট মিনির কথা। ছোট্ট-ফ্রকের সেই ছোট্ট মিনি। আসলে কী বলো তো,  শূন্দ্রানীর কলমে চালকুমড়োর মোরব্বা হাঁটুমুড়ে বসেছে। তাঁরও শখ হয়েছে না-পালিয়ে প্রতিটি নার্ভাস সিস্টেমের ব্রেকডাউনের কথা লিখতে। এও নিতান্তই চরিত্রের ডিমান্ড অনুযায়ী। অথচ, কোনও প্রয়োজন ছিল? ছিল না। নিয়মে-অনিয়মে, খেয়ালে, হোশে-জোশে এক-একটা গর্ভপাতের মতো অপ্রয়োজনেই ঘটেছে যা-কিছু। জলের ভিতর ভয়ঙ্কর এক খরা। আগুনের ভিতর তীব্র শীত। ভেন্টিলেশনে সারিসারি স্বপ্ন দ্যাখা চোখ। আমার সুমন কল্যাণপুরের ওই  গানটা মনে পড়ে গেল -"আমার স্বপ্ন দেখা দুটি নয়ন, হারিয়ে গেল কোথায় কখন, কেউ তা জানে না গো কেউ তা জানে না..." অথচ, এর কি কোনও প্রয়োজন ছিল? প্রজাপতিটিও নতুন ডানায় বসেছিল তোমার কোলে বারবার, প্রয়োজন ছাড়াই...
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register