Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

এক মাসের গপ্পো - সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব- ৭)

maro news
এক মাসের গপ্পো - সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব- ৭)

মুখী - ৭

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গলো.. দেখলাম আমি বিছানায়.. আর যথারীতি একটা পরিচিত খ্যাস খ্যাস আওয়াজে সারা বাড়ি মুখরিত ....মুখী বিকৃত মুখে উঠোন ঝাঁট দিচ্ছে...আর গালমন্দ করছে... "মর মর মর সবকটা...সপুরী ঝমের বাড়িত্ ঝা...সবার সব্বনাশ হোক....ঝ্যাতো কাজ এই বুড়ি করবে..আর দোষির ভাগিও এই মুকপুড়ি হপে.....অদেষ্টের ফেরে এই পোড়াকপালে বুড়ি যে বেদবা....তাই না এ্যাত হেনস্থা..…..আর হয়েচে এই হারামজ্যাদা কাকির দল্..ওরে..তোরা আমার পিচনে কেন ঘুরিস..সারাদিনমান ক্যা ক্যা ক্যা...মর মর মর আপদের দল..ঝমের বাড়িত্ ঝা...." আমি বারান্দার থাকা সিমেন্টের থামটা ধরে একদৃষ্টিতে মুখীকে দেখতে থাকলাম......আর ভাবতে চেষ্টা করলাম...কাল রাতে আমি ঠিক কি দেখলাম...সেটা কি স্বপ্ন ছিল..? কিন্তু কি ভাবে... আমি তো তখন ঘুমোই নি... সম্পূর্ণ সজাগ ছিলাম...আর এটাও বা কি করে হয়...এক মূহুর্ত আগে যে মুখী কে নিজের চোখে ঘরে ঘুমিয়ে থাকতে দেখলাম..তাকে কিভাবে একই সময়ে বাইরে, ছাদের আলসেতে বসে থাকতে দেখতে পারি!!!! আমি মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছি না তো??!!! এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই আমি ডেকে ফেললাম..."মুখী শোনো.." মুখী চমকে আমার দিকে তাকালো.... আমি ধানাইপানাই না করে সোজা প্রশ্ন করলাম... "তুমি কাল রাতে ছাদের উপর কি করছিলে??" আমার প্রশ্ন টা মনে হলো মুখী বুঝতেই পারলো না "একন আবার বুড়ো মানষিটারে ছাতেও যেতি হপে??এই শরীল নিয়ি...এই কোমর নিয়ি আমি ছাতে উটতি পারবুনি... সে বলে দিলম বাপু...য্যাতোই আমার মাতাখান তুমি হাতে কাটো"....বলে মুখী বিশ্রী ভাবে মুখ ব্যাঁকালো.... আমি বুঝতে পারলাম প্রমাণ ছাড়া মুখী কে কাল রাতের কথা বলে কোনো লাভ নেই.....আমাকেই এবার আরো সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে... কিন্তু যতই চেষ্টা করি বা সতর্ক থাকি না কেন... ধীরে ধীরে বাড়ির পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরো খারাপই হচ্ছিল...অর্ক প্রায়ই আচ্ছন্নের মতো পড়ে থাকতো... ব্যাবসার দেখাশোনা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল...কারখানা বা অফিস যাওয়াও প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল...আর শাশুড়ি মারও শারীরিক অবস্থার দিনদিন অবণতি হচ্ছিল....শ্রিয়াও জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগতেই থাকতো... আমি একা আর সব দিক সামলাতে পারছিলাম না... আমার শরীর মনও ক্রমশঃ অবসন্ন হয়ে পড়ছিল...এক এক সময় মনে হত..শ্রিয়াকে নিয়ে এসব থেকে অনেক দূরে পালিয়ে যাই... কিন্তু আমি জানতাম তা করে কোনো লাভ নেই... মানুষের হাত থেকে হয়তো পালিয়ে.... লুকিয়ে বাঁচা যায়..... কিন্তু অপ্রাকৃত অপশক্তির হাত থেকে তা সম্ভব নয়...আসলে প্রকারান্তরে আমি বোধহয় আমার অদৃষ্ট কে মেনেই নিচ্ছিলাম... কয়েকদিন পর...এক বর্ষনমুখর ভাদ্রের বিকেলে আমি নিজের ঘরের জানলার শিক ধরে বৃষ্টি ভেজা বাগানের দিকে তাকিয়ে ছিলাম...আর ভাবছিলাম...আজ কি মন্দিরে যাওয়া হবে না??? বাড়ির এই অপ্রাকৃত, অসুস্থ পরিবেশ থেকে ঐ কিছুক্ষণই তো আমার মুক্তি...আধভাঙা মলিন পাথরের মা'র কাছে গিয়ে নিজের সব দুঃখ জ্বালা, অভিমান, অভিযোগ উজাড় করে দিয়েই তো আমি পরের দিন বেঁচে থাকার মানসিক শক্তি কুড়িয়ে আনি মগ্ন হয়ে এই সব সাতপাঁচ ভাবছিলাম.. হঠাৎ খোলা পিঠের উপর গরম নিঃশ্বাসের অনুভবে চমকে উঠে পিছনে ফিরলাম.... দেখলাম অর্কর ছোটকাকা ঠিক আমার পিছন ঘেঁষে... বলতে গেলে আমার পিঠ ছুঁয়েই দাঁড়িয়ে আছেন... আমি কুঁকড়ে উঠে যতটা সম্ভব জানলার দিকে সরে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করতে লাগলাম... আমার অস্বস্তি ছোটকাকা খুব তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে করতে..( ঠিক পাখি যখন ব্যাধের জালে জড়িয়ে পড়ে.... নিজেকে মুক্ত করার জন্য ডানা ঝাপটালে... ব্যাধ যেরকম পাখির বৃথা চেষ্টায় এক বিকৃত নিষ্ঠুর মজা পায় আর কি) নোংরা ঘিনঘিনে হাসি হাসতে লাগলেন...তারপর একসময় হাসি থামিয়ে... আমার কাঁধ টা এমন জোরে চেপে ধরলেন..যে আমার মনে হলো আমার কাঁধের হাড় গুলো গুঁড়িয়ে যাচ্ছে... আমার থরথর্ করে কাঁপতে থাকা পা গুলো আস্তে আস্তে শক্তি হারিয়ে অবশ হয়ে পড়তে থাকলো... আমার মুখে ওনার পড়া গরম নিঃশ্বাসের গন্ধে আমার গা বমি বমি করতে লাগলো....হে ঈশ্বর!!!! এক অদ্ভুত ঘৃণ্য লালসা মাখা চাপা গলায় উনি কথা বলছিলেন " ঠিক চারদিন আগে তোর গর্ভাবস্থার তিনমাস পূর্ণ হয়েছে...কাল 'তারা রাত্রি'...তোরা যাকে কৌশিকী অমাবস্যা বলিস....তায় আবার শনিবার.... তন্ত্র সাধনার জন্য এত উপযুক্ত তিথি অনেক বছর পরে এলো... বোধহয় আমার সিদ্ধিলাভের জন্যই...জয় মহাপিশাচ..." বলতে বলতেই উনি অপ্রকৃতিস্থের মত হা হা করে হেসে উঠলেন.... "শোন মাগী...কাল সকাল থেকে উপোস করে থাকবি.... ঠিক সময়ে আমি তোকে ডেকে পাঠাবো...তোর পেটের মাল খালাস করে,কর্ণ পিশাচীটাকে খেতে দিয়ে...." বলতে বলতে উনি থেমে গেলেন..." না... ওটাকে দেবো কেন? সাক্ষাৎ মহা পিশাচকেই ভোগ চড়াবো.....কর্ণ পিশাচী টাকে.....নাঃ কালকের পর ওটাকে আমার আর দরকার নেই.... আগে ওটাকে ওটার জায়গায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে... মহাশক্তি আর সাধনসঙ্গিনী....দুটোই যখন পেয়ে যাবো....তখন ওটাকে আমার আর লাগবে না..." বলতে বলতেই উনি হঠাৎ থেমে গেলেন...যেন নিজেকে সামলে নিলেন খানিক..."যা বলছি সেটা করবি...এত টুকু যেন এদিক ওদিক না হয়...যদি হয়েছে...তোর চোখের সামনে তোর বর, তোর শাশুড়ি বুড়ি আর তোর ঐ সতীনের বেটিকে কর্ণ পিশাচী...বুঝতেই পারছিস...ও তো আবার খিদে ছাড়া কিছুই বোঝে না...জানিস তো... তাই কাল ডাক পড়লেই স্নান করে কাচা কাপড় পরে আমার ঘরে চলে আসবি...আর যেন বলতে না হয়...আর বলতে হলে কিন্তু..." বলে,... আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনি আমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চাটলেন....তারপর যেমন হঠাৎ এসেছিলেন.... তেমনই ঝড়ের মত বেরিয়ে গেলেন আমি ভয়ে, আতঙ্কে, ঘৃণায় হতবুদ্ধি হয়ে আচ্ছন্নর মত আমার শোবার বিশাল পালংকটাতে বসে পড়েছিলাম....তাই খেয়ালও করিনি...কখন দরজার কাছে আরো দুটো মানুষের ছায়া পড়েছে... "মা গো মা...এট্টা মানুষের ফাইদা তুলে ঝ্যাকন তারে আর দরকার নি...ত্যাখন তারে সরায়ে দেবার পেলান...দেকেচ বড়মা..কইনি তোমারে? তলে চলে সব সাঁট হতেচে..." মুখী যতই চেষ্টা করুক...নীচু স্বরে কথা বলার...ওর ঐ খ্যানখ্যানে স্বর সামান্য ফ্যাঁসফ্যাঁসে হওয়া ছাড়া খুব একটা তারতম্য হোলো না... আমি ঘোর ভেঙে চমকে উঠেই কাঠ হয়ে গেলাম আমার মুখের একেবারে সামনেই কখন বড়'জা ( যদিও বড়'জার স্বরূপ আমি জানতাম তবুও এখানে এসে থেকে যেহেতু ওনাকে বড়'জা বলেই জেনেছি তাই আমি তাকে বড়'জা ই বলতাম ) আর মুখী এসে দাঁড়িয়েছে... আমি বুঝতেই পারিনি.... বড়'জার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভিতরটা হিম হয়ে গেল...তার চোখের চাহনি তে যে কি পরিমান রাগ...ঘৃণা আর জিঘাংসা মাখানো ছিল...তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়... " ইচ্ছে করছে এক্ষুনি এটাকে এখানেই..." বলতে বলতেই বড়জা আমার গলার দিকে হাত টা বাড়িয়ে দিল.... "এরে শ্যাষ করে কি হবে গ মা......" মুখীর উদাস গলা... সে তো তুমি ঝ্যাকন খুশি করতি পারো....করবা ও...আগে দ্যাকো বাবাঠাকুর কি কি পেলান করতিচে...শিক্কে টা তো তারে দ্যাওয়া পেরোজন...এটা....আর বাকি সবাই আর কোতায় যাবে....আগে ঝে তোমার সব্বোনাশ কত্তি পারে...তারে সামলাও...তারপর তো..... মুখী একবার য্যাকন তোমারে কয়েচে তোমার পাশে থাকবে... তোমার খিদের যুগান দেবে... তোমার ঝা ভালো হয় তাই করবে গ মা...এটাকে দিয়ি তোমার কাজ টা আগে তো উদ্দার করো গো মা..." আমি অবাক আতঙ্কে দেখলাম বড়'জা মুখীর কথায় তার উদ্যত হাতটা গুটিয়ে নিল....তারপর দুজনে আমারই ঘরের একটা কোনায় গিয়ে কি যেন ফিসফিস করলো....তার কিছুক্ষণ পর বড়'জা আবার আমার দিকে এগিয়ে এল...."শোন....তোকে একটা কতা বলি...তোকে আর তোর পরিবার কে আমি ছেড়ে দেবো... কিন্তু তোকে একটা কাজ আমার করতে হবে...কাল যকন ঐ নোকটার ঘরে যাবি... তোকে বুদ্ধি করে ওর গলার মাদুলীটা ছিঁড়ে নিতে হবে...এ যেদি পারিস...তোর পরিবার কে আমি ছেড়ে দেবো...বল আমাদের কথা শুনবি ? না ঐ নোকটার বাঁদা মেয়েছেলে হয়ে থাকবি ? আমাকে নিরুত্তর দেখে বড়'জা অধৈর্য্য হয়ে উঠছিল.... তাকে থামালো মুখী...(আমি একটা ব্যাপারে অবাক হলাম...মুখীর মত একজন তুচ্ছ কাজের লোকের কথা একজন ভয়ঙ্কর পিশাচিনী কিভাবে মেনে নিচ্ছে!") "হুটোপাটা কোরোনি মা...তোমারে এই বুড়ি কতা দেচ্চে...এ মেয়েচেলে তোমার কতাই শোনবে... আমি বুঝায়ে বলতিচি... তুমি ঝাও দেকি...কালকির ঝন্যি এডি(রেডি...মুখী মাঝে মাঝে বেশ ইংরেজি ও বলার চেষ্টা করতো...যা নিয়ে আমি আর শ্রিয়া হাসতাম... কিন্তু এখন আমার মোটেই হাসি পেল না) হউ তো মা.....আর তোমার ঘরে আমি তোমার খাবার রেকে এসিচি...দুডন্ড পেরান টা ঠান্ডা করোগো মা আমি এসতিচি..." বড়'জা আমার দিকে আর একবার হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে...দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল.... আমি দেখলাম বড়'জার পা মাটি স্পর্শ করলো না। আমি মুখীর দিকে তাকালাম....আর দেখলাম মুখী অসংখ্য ভাঁজ পড়া লোলচর্ম মুখে আর কুটিল চোখে এক অদ্ভুত চাহনি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.. আমার মনে ভয় টা কেটে গিয়ে এক অসম্ভব রাগ ও হতাশা জন্ম নিল হঠাৎ.... আমি বললাম... "বাঃ মুখী..... রাস্তায় পড়ে ছিলে....কেউ তোমায় আশ্রয় দিচ্ছিল না... আমি তোমাকে যত্ন করে তুলে এনেছিলাম.... ভেবেছিলাম,আমি তো মা হারা মেয়ে...হয়তো একজন বয়স্ক মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা পেয়ে কষ্টগুলো একটু কমাতে পারবো... তুমি তো দেখছি আমায় ভালোই প্রতিদান দিলে!! তুমি সবটাই জানো... ও আসলে কে...তবু তুমি আমার সর্বনাশ করবে বলে ওই ডাকিনীর সাথে হাত মেলালে...আর কদিন বাঁচবে তুমি?? তোমার পরকালের কি কোনো ভয় নেই?? ছিঃ.." বলতে বলতেই আমি চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া জল‌টা মুছে নিলাম..." "ওইসব কয়ে কুনো লাব নেই...যেতি ভালো চাও বড়মা ঝেটা বলেচে সেটাই কোরো গো নতুন বউ...আর পরকাল??" মুখী ওর সেই বিভৎস কুৎসিত দন্তবিহীন মুখের অন্ধকার হাসিটা হেসে উঠলো "আমরা মুক্কু মনিষ্যি.... ঐ সব পরকাল টরকাল বুজিনে গো মা... আমি নিজের বররেই ছাড়িনি...গিলে খেয়ে বেদবা হইচি...কেন জানো??বরটার কাচে এট্টু খেতি চেয়েচিলাম...ঐ মুকপোড়া নেশাখোর মিনসে আমার খিদে মেটাতি পারেনি গো...তাই আমি তোমার বড়'ঝারই মতো তারে.... আমি নিজে সব খুইয়েচি..অন্যির কতা কেন ভাবতি ঝাবো...আগে আমার খিদা মেটাই...তারপর তো... আমি তো তোমারে আগেই কয়েচিলাম.. আমারে নিয়ি আসা মানে অমঙ্গল, অশান্তি আর বিপদ নিয়ি আসা...একন আমার কতা শোনা ছাড়া তোমার আর রুপায় (উপায়)নেই কো...." বলতে বলতে মুখী খলখল করে হেসে উঠলো.... আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো... আমি বুঝলাম না আমার কাকে বেশি ভয় পাওয়া উচিত...ছোটকাকা.... বড়'জা নাকি মুখী... আমার মাথা অসহ্য যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছিল... আমি স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে চিৎকার করে বললাম...."মুখী তুমি এক্ষুণি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যাও.... তোমার মুখদর্শন যেন না করতে হয় আমায়...দূর হয়ে যাও আমার জীবন থেকে..." মুখী সেরকম হাসতে হাসতেই হঠাৎ থেমে গেল... তারপর ফিসফিস করে বললো "মাদুলি খোলার কতা টা মনে রেকো গো মেয়ে...নাইলে সবশুদ্দু মরবে" বলে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে একবার পিছনে মুখ ঘুরিয়ে আমাকে দেখলো.... অদ্ভুত সেই চাহনি! আর তার সাথে দূর থেকে ভেসে আসা অনেক গুলো কাকের ডাক... দুই মিলে কেমন যেন একটা ছায়া ছায়া ঘোর সৃষ্টি হোলো....আর আমার মনে... মুখীকে প্রথম দিন দেখে যে দৃশ্য গুলো ভেসে উঠেছিল... সেগুলো হঠাৎ ই আবার এক মূহুর্তের জন্য ভেসে এল...সেই মামাবাড়ির রঙচটা বসার ঘর আদ্যিকালের ভিডিওকন টেলিভিশন...তার মাথায় হরলিক্সের বোতলের ফুলদানি আর পিছনের দেওয়ালে আধছেঁড়া একপাশে লটকে থাকা শ্রীদুর্গা বস্ত্রালয়ের ক্যালেন্ডার...দৃশ্যটার রেশ সম্পূর্ণ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই... অসহ্য মাথা যন্ত্রণার মধ্যেই দৃশ্যটার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির সাযুজ্য খোঁজার বিফল চেষ্টা করতে করতেই নিজের অজান্তেই আমি চিৎকার করে উঠলাম....মুখী তুমি কে?" আমার দিকে তাকিয়ে বিদ্রূপের হাসি হেসে মুখী দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল...আর আমি অবাক হয়ে দেখলাম... বড়'জার মতো মুখীরও পা মাটি স্পর্শ করলো না।

‌ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register