Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

মানিক পাঁচালী -তে সুশান্ত সরকার

maro news
মানিক পাঁচালী -তে সুশান্ত সরকার

।। সত্যজিতের পথ আর আমার পাঁচালি ।।

এ গাঁয়ের মাটির গন্ধ সোঁদা এ গাঁয়ের মেঘের রং নীল এ গাঁয়ে আকাশ মেশে পথে এ গাঁয়ের হাওয়ায় অন্তমিল
এ গাঁয়ের রাস্তা , নোয়ানো গাছের মোছানো ছায়ায়, ক্লান্ত মায়ায় দিঘীর পাড়ে শান্ত হাওয়ায় উবু হয়ে বসে রোদ্দুর মাখে আলগা হাওয়ায়।
এ গাঁয়ের ঘরের মধ্যে ঘর,দেওয়াল ঘেষা দেবদারু ,বট, আম - জাম দূরে খয়েরী রেখায় তালসারির ছোঁয়ায় মেঘের সাথে মেঘ মিশে যায় তার ছায়ায় মায়ায়, জড়ায়ে ধরায় শান্ত পথে একলা হাওয়ায় ঐ রাজকন্যে দৌড়ে বেড়ায় ধূলো মাখা রাংতা পায়ে এলো গায়ে পথের বায় ও’ কি ও কোন পথে যায়? কোন পথে যায়? যায় কি আসে,একলা ভাসে পথকুঁড়ানো ছেলেবেলা লুকিয়ে রাখা ধূলোখেলা খেলায় খেলায়,ডানা মেলায় হেলায় গাংচিল
এ গায়ের মাটির গন্ধ সোঁদা এ গায়ের মেঘের রং নীল এ গাঁয়ে আকাশ মেশে পথে এ গাঁয়ের হাওয়ায় অন্তমিল
এ গাঁয়ের নিকানো দাওয়ায়,রোদ মেখে গায় ভাঙা পাঁচিল অশ্বত্থ ছায় পলকা হাওয়ায়,জলকে নাড়ায় কোন গভীর মায়ায় ভোর আসে,আলতো হাসে চৌকনো রোদ চাদর খুটে ডাক দিয়ে যায়।
রাজরাজত্ব রাজার মানিক রাজপুত্তুর কোরছে খেলা চাঁদপানামুখ আবছা কাঁচে জড়িয়ে থাকে ছেলেবেলা
সাতসমুদ্দুর রাজপুত্তুর ,একফালি রোদ ধুলমাখা রাংতা আলো রূপকথার গল্পগাছা মায়ের হাতের আদর পেল
পাঠশালা,বর্ণমালা,আলপথ আর গায়ের চাদর ঘাসফুল আর প্রজাপতি বাঁশীর সুরে মেঠো আদর
এ গাঁয়ের বৃষ্টি ভাল ঘাসের আল,চলকে পড়ে জলরঙা সবজে গন্ধ মনখারাপেও জড়িয়ে ধরে আলুক শালুক জল থই থই পানকৌড়ি কাঠবেড়ালি ছড়িয়ে থাকা মানিককনা ঐ বুঝি তুই কুড়িয়ে নিলি
যায় না গোনা,মেঘের কনা,মেঘফুরোলেই অবশেষে ঘুম সোনামোন হামলে পরে রাজকুমারের ছদ্মবেশে জুটিয়ে নিয়ে ধুলিকনা,কোচরে নিয়ে আহ্লাদী মোন রাজপুত্তুর সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়িয়ে-ঘাট পেড়িয়ে পক্ষ্মিরাজে যখন- তখন
উড়ছে কথা ঘুরছে কথা এই গাঁয়েরই গাছকোটরে কাশবন আর রেলের গাড়ি দুজন মিলে তেপান্তরে
অবাক হয়ে রাজপুত্তুর তাকিয়ে থাকে দু-চোখ মেলে রেলের গাড়ি ছুট্টে চলে মেঘরোদ্দুর ইষ্টিশনে হটাত করে সন্ধে নামে অকারনের অন্তমিলে।
সন্ধে নামে সূয্যি পাটে বট অশথের পেছন বাটে একলা আকাশ হাজার তারায় জল ছুঁই ছুঁই সন্ধেপিদিম ঝিঁঝিঁর ডাকে রাত্রী কাটে
রাত্রী কাটে দিনও কাটে সময় হাটে নিজের মনে রাজা-রানি ঠাকুরঝি আর রাজপুত্তুর রাজকন্যে
পথ চলে যায়, পথের পাড়ে পথ বেঁকে যায় হন্যে হয়ে ধূলোমাখা কথকথা কুয়াশা মাখা মোড় ফিরিয়ে সেই পথের বাঁকেই এক ফালি মোন দুঃখ হল সব মিলিয়ে
চোখের বালি নাকি সোহাগ লুকিয়ে ছিল কোন আবদারে খেয়ার তরী খেয়াল বশে দু-হাত দিয়ে জাপটে ধরে
একদিন এক ঝড়ের রাতে রাজা তখন দেশান্তরে রানি একা রাজরাজত্বে রাজকন্যে জরের ঘোরে রাজপুত্তুর একলা চোখে,ভেবেই সারা কি হয় এবার লাগামছাড়া ঝড়ের দাপট, ভেঙেই বুঝি পড়ল দুয়ার রানি কেবল ঝাপসা চোখে অনেক কষ্টে সাহস আঁকে দুহাত দিয়ে পিদিমখানা যে করে হোক আগলে রাখে
লুকিয়ে রাখা সোহাগকনা দস্যিপনা তেপান্তরে জমিয়ে রাখা আলতো আদর ঘুমিয়ে পড়ে অগচরে ও কি হলো ও কি হয় নুইয়ে মাথা আঁচল ছুঁয়ে রাজপুত্তুর তাকিয়ে থাকে নিমেশ চোখে অবাক হয়ে, কিন্তু যিনি নিরাকারে লিখে গেছেন গল্পগাথা নিভিয়ে আলো সকাল হোল রাজা রানি রাজপুত্তুর আর তাদের এ রূপকথা
দিনের পরে দিন চলে যায় পথ বেঁকে যায় আপন মনে ধূলোমাখা এ রূপকথা পুরনো হলেও সবাই জানে
রাজা রানি রাজপুত্তুর আর তাদের রূপকথারা তেপান্তরের মাঠ পাড়ি দেয়, মেঘ লুকানো দূর সীমানা
কথার উপর কথার বোঝা কথাই খোঁজে কথার মানে কাশবন আর রেলগাড়িটা এগিয়ে চলে অন্য আরেক ইষ্টিশনে…………
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register