আমাকে ডাকছে অশ্রুতপূর্ব বাঁশি
চালাঘর ভাসিয়ে দিচ্ছে চাঁদ চাঁদ গন্ধ
পোড়ামাটি আগলে আমার নির্বাসন
সীমান্তবাসী একটি নক্ষত্রে রেখেছি চোখ
আমার মতোই অসহায় তার তাকিয়ে থাকা
কেঁপে কেঁপে উঠছে রাই জাগানো বাঁশির সুর
কোন এক অদৃশ্য অভিসারে আমার সত্তা
ধাঁধিয়ে যাচ্ছে আমার পরিচিতির সীমারেখা
সুরের মূর্ছনায় আমার অধিবাস
বিশাল ছায়ার ডানায় আমার শ্রুতিপথ
কার যেন পাঁজাকোলায় আমার অস্তিত্ব
সুর তরঙ্গে ভিজে যাচ্ছে জবুথবু শরীর
বহুযুগের ওপারে বৃষ্টিভেজা কদমতলা
আরবি ঘোড়ার মতো ছুটছে চালাঘর
চাঁদের গন্ধে খুঁজছি নাড়ি নক্ষত্র
আমাকে টেনে ধরতে চাইছে পুরনো কিছু অভ্যাস
আমি এখন তেমন নই
আমি এখন অন্য মানুষ
ভবিতব্য আমার ঠিকানা
মড়ার খুলির মতো আছাড় নেই
বাসি চুলোর পাশে ঝিমুনি নেই
নামতা মাফিক দিন গুজরান নেই
রোগ শোক রেখে এসেছি ছেঁচতলায়
ঢেঁকিশালায় ঘুমিয়ে পড়েছে খুদের গন্ধ
সর্বাঙ্গে আমার বাঁশির সুর
নিরাকার বন্দরে পৌঁছে গেছি
কুয়াশা বিছানো শূন্যতা আমার চালাঘর
0 Comments.