কবিতায় সঞ্চালিকা আচার্য
ভার্টিগো
এতটা ওপরে উঠে এলে, তারপর শুধু ভয় করে।
নিচের প্রতিটা বাঁকে রয়ে গেলো কত ধূসর স্পট, একটা আরেকটার পরে। স্কুল মাঠ, দেহের ঘাট, আর ঝিন্টিকে বৃষ্টি ভাবার রাত। সর্বনাশের চৈত্রমাস, গ্রিন-ব্যাকেড টিটের লাশ, আর একলা গিয়ে দাঁড়ানো পাহাড়ি নদীটির কাছে।
ওরই মধ্যে নুন ঢেলে মেরে ফেলা ছিনে জোঁকরাও তো আছে।
এতটা ওপরে উঠে এলে, শীত করে খুব। হিটার কাজ করে না, জ্যাকেটের ভেতরেও কনকনে হাওয়া ঢোকে। কুয়াশায় সব অস্পষ্ট লাগে, যখন তখন বৃষ্টি নামে— অ্যালজোলাম-প্ররোচিত ঘুমঘোরে খিল্লি করে ফেলে আসা মুখগুলো, রোজ। বান্ধবীর বনসাই ভালো লাগে না, ভালো লাগে না কাঁচের বাটিতে ঘুরতে থাকা গোল্ডফিশকে। শরীরে ধুনুচি জ্বালা সহজ হয় না আর।
এতটা ওপরে উঠে এলে, ভার্টিগো হয়। নীচে গড়িয়ে যাওয়ার ভয়। সমস্ত শ্বাস খুব মেপে ফেলতে হয়।
এতটা ওপরে উঠে এলে, তারপর শুধু ভয়। তাই আমার এই স্তব্ধতা, জেনো এ উপেক্ষা কখনো নয়।
0 Comments.