Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ক্যাফে ধারাবাহিক উপন্যাসে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক (পর্ব - ১২)

maro news
ক্যাফে ধারাবাহিক উপন্যাসে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক (পর্ব - ১২)

শহিদ ভগৎ সিং চরিত

চতুর্থ অধ্যায় || তৃতীয় পর্ব

কাহিনীকার বলে চলেছে, " কানপুরে থাকা কালেই 'হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন'- এর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সি- আই- ডি রিপোর্টে, 1925 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, লাহোরে প্রচারিত 'রেভোলিউশনারি' পুস্তিকা বিলিতে তার নাম জড়িয়েছে। 1930 সালে, HSRA' র গোপন ডেরায় হানা দিয়ে,সি আই ডি, তার গঠন পদ্ধতি, উদ্দেশ্য প্রভৃতি হাতে পায় এবং 1930 সালের কেসের সঙ্গে ওগুলোও জুড়ে দেওয়া হয়। "

কাহিনীকার বলে চলেছে, "ভগৎ এখন পুরোপুরি বিপ্লবী চিন্তাধারার বই পড়ে চলেছে। শুধু পড়া, পড়া আর চিন্তা; পড়তে পড়তে হবে জ্ঞান , হবে শানিত যুক্তি, হবে চিন্তার বিকাশ। 'নৌ- জোয়ান সভা' গঠিত হয়েছে, যুবকদের, ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে; দেশের সব বিপ্লবী সংস্থাগুলোকে একটা ছাতার তলায় আনার জন্য দিল্লিতে সভা আহ্বান করা হয়েছে; সেই সভাতে 'হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন- এর নতুন নামকরন হ'ল 'হিন্দুস্থান সোসালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশন'; এই সংস্থার আর্মড স্কোয়াড তৈরি হয়েছে, তার দায়িত্বে আছে চন্দ্রশেখর আজাদ, গোপন নাম 'পণ্ডিতজী', ভগতেরও দলে গোপন নাম হবে 'রনজিৎ'। "

"একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে বিভিন্ন ছদ্মনামে চলছে, বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় লেখা- জোকা, কখনও বসন্ত নামে কখনও গৌতম, কখনও বিদ্রোহী, আবার কখনও বলবন্ত নামে চলছে প্রতাপ পত্রিকায় লেখা। হিন্দী 'মৎওয়ালা' পত্রিকাতেও বলবন্ত ছদ্মনামে প্রকাশিত হ'ল 'বিশ্বপ্রেম' ও 'যুবক' নামে দু'টো প্রবন্ধ। 1926 সালে ছ'জন 'বব্বর আকালি' বিদ্রোহীর ফাঁসি উপলক্ষ্যে পাঞ্জাবী ভাষায়, এক পাঞ্জাবী যুবকের নামে লেখা হ'ল,'হোলি কী দিন রক্ত কী ছিঁটে'।পাঞ্জাবী ভাষায় প্রকাশিত হ'ল তার 'রিলিজিয়ন ওরিয়েন্টেড রাইটস এ্যান্ড সলিউশন', ইস্যু অফ অ্যানটাচেবিলিটি', 'রিলিজিয়ন এ্যান্ড আওয়ার ফ্রিডম ষ্টাগ্রল', আরও কত কী! 1924 সাল থেকে দেখতে পাওয়া যায়, ভগৎ সিং , একজন গোগ্রাসী পাঠক; দ্বারকা দাস লাইব্রেরি থেকে মার্কসবাদের উপর প্রকাশিত প্রায় সব বই-ই সে পড়ে ফেলেছে। ধীরে, ধীরে তার মধ্যে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটছে। "

"1927 সালের মে মাস, দেখ, লাহোরের রেলওয়ে লক- আপে রয়েছে, ভগৎ সিং; এই প্রথম সে পুলিশের জিম্মায়; কারণ কী, না, ' কাকোরী ষড়যন্ত্র'-এর সঙ্গে রয়েছে যোগ; ভগৎ এখন ফাটকে। প্রমাণ নেই, তো কী হয়েছে, দাও 1926 সালের 'দশেরা- কাণ্ডে', বোমা- বিস্ফোরণের সঙ্গে নামটা জুড়ে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই লক- আপে, কী আর করা যাবে! পরাধীন জাতির ভবিতব্য তো এটাই! পরে প্রমাণাভাবে কোর্ট থেকে 60,000 টাকার জামিনে ঘটলো সাময়িক মুক্তি। পিতা কিষেণ সিংজির ব্যারিস্টার বন্ধু দুনিচাঁদ ও মিঃ দৌলতরামের বদান্যতায় এসব সম্ভব হ'ল; দৌলতরামজি'র অফিসেই চললো, লাঠিপেটা, বেশ কয়েক ঘা, তারপর তো, এই মারে তো ঐ মারে; এসব ঘটনায় বিচলিত না হয়ে, হাসতে হাসতে বাবাকে বলছে, 'ভাইয়াজি, শান্তি করো(পাপ্পা বি কাম)'। রাতে, মা'র প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে বলছে, 'ওসব গুজব'। "

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register