Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 || মে দিবস স্পেশালে || সৌমেন দেবনাথ

maro news
T3 || মে দিবস স্পেশালে || সৌমেন দেবনাথ

১| শ্রমের জয়

শ্রমে মেলে মনের আশা শ্রমের অনেক মূল্য, শ্রমের জন্য জীবন রাঙে শ্রমের হয় না তুল্য।
মেধা দিয়ে কাজে লাগলে কাজে মেলে রত্ন, প্রতি কাজে ব্যস্ত থাকো নিয়ে অনেক যত্ন।
কষ্টের কাজেও কষ্ট রয় না কাজকে ভালোবাসলে, কাজের মাঝের আনন্দ নাও না হয় তুমি হারলে।
খেটে খাবে বেঁচে যাবে শ্রমকে করো না ভয়, শ্রমকে যদি সঙ্গী করো তোমার হবে জয়।

২| শ্রম-অসন্তোষ

শ্রমিক খাটে দিনে রাতে দেয় না কেউ শ্রমের দাম, তাদের শ্রমে শিল্প গজায় অমূল্য তাদের ঘাম।
রক্তচোষা মালিক পক্ষ দেয় না বেতন ঠিক ঠাক, নানান কায়দায় ফন্দি আঁটে ঠকায় টাই পরা টাক।
রাগ-ক্ষোভ জমে মনের মাঝে আন্দোলন তাই করে, দমন তরে গুলি ছোঁড়ে কত শ্রমিক মরে।
শ্রমের মূল্য দিতে হবে এটাই সঠিক শিক্ষা, তাদের দিতে কেনো দ্বিধা কেনো দেবে ভিক্ষা?

৩| কোভিডে শ্রমজীবী

লকডাউনে শ্রমজীবী পড়ে গেছে আটকা, অন্যদিকে ধনীক শ্রেণি খাচ্ছে তাজা টাটকা।
রিক্সা রাস্তায় উল্টে থাকে ঘরে তাদের নেই চাল, ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে সেদিক কারো নেই খেয়াল।
গাড়ির চালক আরো কষ্টে নীলচে দুঃখে রেঙে, মরার আগেই মরে যাচ্ছে কোমর যাচ্ছে ভেঙে।
ধরা থেকে জ্বরা কাটুক বাঁচুক সবাই আশায়, শ্রমজীবীরা খেটে খাবে রইবে না বসে বাসায়।

৪| শোষিত শ্রমিক

অতীত কালে রাজা ছিলো ফসল নিতো কেড়ে, খাজনার নামে শোষণ করতো দিতো নাতো ছেড়ে।
অতীত কালে মহাজন ছিলো দিতো টাকা দাদন, ফসল বেঁচেও হতো না শোধ শুধুই সম্বল কাঁদন।
এখন গাঁয়ে গাঁয়ে এনজিও খাচ্ছে রক্ত চুষে, টেনে নিয়ে যায় ঘরের টিন কৃষকরে খায় শুষে।
যুগে যুগে শ্রমিক মরে দেয় না হতে স্বচ্ছল, তাদের বুকে ফেলে পদ থাকে ধনীক উচ্ছল।

৫| সংসারে নারীশ্রম

ঘরের মাঝে নারীর কাজের মেলেনি স্বীকৃতি, তাদের কাজকে তুচ্ছ ভাবি মনটা যে বিকৃতি।
তাদের শ্রমে অর্থ হয় না তাই বলি কি করো, দিনে রাতে কর্ম করেও কেঁদে কেঁদে জ্বরো।
স্বামী বলে রেগে মেগে রোজগার করো অল্প, ছেলে বলে হেসে হেসে করো ভরদিন গল্প।
নারীর কাজ চোখে পড়ে না এটাই পুরুষের চোখ, পাঁচদিন কর্ত্রীর অসুখ থাকলে সংসার হবে দোজখ।

৬| শ্রমিকের জীবন

আমরা শ্রমিক ভুক্তভোগী হই শোষণের শিকার, অবহেলায় জোটে কেবল দেয় না কেউ অধিকার।
দেয় না কেউ যথাচিত সম্মান জোটে অপমান, ভাই, ন্যায্য মজুরি দেয় না কেউ টাই পরা স্যার ঠকায়।
আমার ঘামে তোমার বাড়ি দাও না ঘামের দাম, যাঁতাকলে পিষ্ঠে মারো চোখে তোমার নেই চাম।
তোমার কাজে জীবন বাজি হাতে জমে কড়ে, তুমি ঠকাও, ঠকতে ঠকতে নিম্নে থাকি পড়ে।

৭| বৃথা শ্রম

রোদ-বৃষ্টিতে কৃষক মাঠে ফলায় সোনার ফসল, ফসলের দাম পায় না কৃষক উঠে না তার আসল।
লাঙল চালায় কঠিন ভূমে সহ্য করে ব্যথা, উঠলে ফসল বিক্রি হয় না শ্রম হয়ে যায় বৃথা।
অধিক দামে সার জল কেনে কঠিন তাপে ঘামে, যত্নের ফসল হয় না বিক্রি কেনো ন্যায্য দামে?
জাতির ভিত্তি কৃষক ঠকে দিনকে দিনের পরে, আমরা কোথায় পাবো খাদ্য কৃষক যদি মরে।

৮| শ্রম-স্তুতি

সারাদিন রোদে জলে কাজ শ্রমিকের বিধি বাম, এত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে তাও কেউ দেয় না তাদের দাম।
হাড়ভাঙা খাটুনি তাদের নেইকো তাদের বিত্ত, জাতির জন্য খাদ্য জোগায় খেটে চলে নিত্য।
সমাজ তাদের করে ঘৃণা দেয় না প্রাপ্য সম্মান, তাদের তরে কেউ গায় না গান কারোর নেই তেমন টান।
চাল-ডাল নেই, নেই টাকা-পয়সা তবু নেই কোনো লোভ, গাধার মত খাটে তারা নেই তবু কোনো ক্ষোভ।

৯| শিশুশ্রম

মায়ের কোলে থাকার কথা খেলবে খেলা তিন সাঝ, তা না তারা পথে পথে করছে যে ভারি কাজ।
কেনো তারা খাটবে বলো গরীব কি অপরাধ, কত কষ্ট করে তারা নেই একটু হাসার স্বাধ।
ঝালাই কাজে ঢালাই কাজে কিংবা মাঠে ঘাটে করছে শিশু ঝুঁকির যে কাজ দেখে বুকটা ফাঁটে।
জন্ম থেকে খাটছে শিশু নেই তাদের অধিকার, কত গুণী গলা ফাঁটায় নেই না কেউ তাদের ভার।

১০| ঘুম

সারাদিন শ্রম খেটে খেটে বাড়ি এসেই দিই ঘুম, ঘুমের দেশে ঘুরে ঘুরে ভুলি শ্রম বেমালুম।
শুক্রবার বা ছুটি পেলে দশটাতে ভাঙবে ঘুম, তার আগে ঘুম ভাঙবেই না তো মারলেও পিঠে দুমদুম।
কাজের মাঝেও সুযোগ পেলে নাক ডাকিয়ে দিই ঘুম, সেই শব্দ কেউ রেকর্ড করে বাজিয়ে কাঁপায় রুম।
অলস বলে ঘুমে ঘুমে দুঃখকে করলাম চুম, সত্যিই একদিন ঘুমাই যাবো ভাঙবে না আর সে ঘুম।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register