সব কিছু চোখের সামনে কেমন যেন ফ্যাকাশে মনে হচ্ছে, কিছুই ভালো লাগছে না। টিভির সামনে বসলেই সেই একি ই মর্মান্তিক সব তথ্য, মৃত্যু আর মৃত্যু, ঘুম ভাঙলেই সকাল থেকে সেই পরিচিত অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন,
না হলে শবগাড়ীর আনাগোনা, নিজেকে খুব dipressed লাগছে, আর যেন নিতে পারছি না। তাই ভাবলাম, কিভাবে নিজেকে এবং আর পাঁচজন কে বাঁচাবো। তারই পরিকল্পনা করলাম, সবাইকে ডেকে বললাম, ” শোন , আমরা বাড়িতে যদি উৎসব করি কেমন হয়। এই ধর বুবলু, তুই আবৃত্তি করবি। পিউ, তুই গান করবি। রীনা ও প্রদীপ দা তোমরাও শ্রুতিনাটক করবে। দাদা আপনি অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন, আর বাকিরা ফুল দিয়ে আমাদের মঞ্চটা সাজাবে,আর আমি কয়েকটা কবিতা লিখে তোদের উপহার দেবো, তোরা সেটা পাঠ করবি।”
সবাই শুনে ভীষন খুশি। পরের দিন থেকে লেগে গেল যে যার কাজ নিয়ে। আমিও খাতা কলম নিয়ে বসে পড়লাম। সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। যাইহোক, মনের একঘেয়েমিটা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভুলে রইলাম। উৎসবের দিন আসন্ন।
সকাল থেকে সবাই খুব উৎসুক হয়ে আছে কেমন হবে উৎসবটা!
ঠিক সময়ে বেজে উঠল উৎসবের নির্ঘন্ট। দাদা খুব সুন্দর করে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে উৎসবটিকে এগিয়ে নিয়ে চলল।বুবলু ও পিউ অসাধারণ একটি গীতিআলেখ্য পরিবেশন করল রবীন্দ্র ও নজরুলের উপর। রীনা ও প্রদীপ দা পরিবেশন করল একটা অসাধারণ শ্রুতিনাটক, যা আমাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে দিল। এর-ই ফাঁকে আমার কবিতাও পাঠ করল বুবলু হৃদয় দিয়ে। উৎসবে সবাই মাতোয়ারা।
মানে কিছুটা সময় বেঁচে থাকা।
কিছুটা অক্সিজেন নেওয়া।