গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

১| ফর্দ
এক প্যাকেট সমকালের কোলাহল দেবেন।
সঙ্গে বারো বিঘৎ বিশ্বাসঘাতক ইঁদুরের বিষ।
অতিরিক্ত এক প্যাকেট ইজি ডাইজেষ্ট সরেস
পলিটিশিয়ান যেন থাকে।
যদি স্টকে এ্যাটমোস্ফিয়ার সমালোচকের নীল ঘাঘরা থাকলে একগন্ডা যোগফল নিয়ে নেবেন।
এই মূহুর্তে সার্ভার ডাউন।
এই অধমকে দয়া করে ধারের অপসন্ থেকে
বঞ্চিত না করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
২| রূপকল্প
তেনাদের মত ব্রহ্মচারীবাদী নই।
সময় কেটে গেলো মুখ ঝামটার রূপকল্প নির্মাণে।
সসপ্যানে গরম জলও দেখি ঝামটা দিতে দিতে অপেক্ষা করছে চা পাতার বিরহী আত্মাদের জন্য।
আমার হুইসেলটি এখন স্থবির।
কাকে ধার দিয়েছিলাম মনে নেই।
ট্রাইসেপের ব্যথাটা আজকাল চাগাড় দিয়েছে।
নিরব আয়নায় পতঙ্গের মূত্র কখনো কখনো দুন্দুভী মনে হয়।
রামচরিত মানস থেকে একটা বাঁদর দেখি আজকাল আঙুরফল টকের গল্প শুরু করেছে।
৩| টমাস মানের বাড়ি কোন দিকে
ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে অসাধারণ খেলনা কিনে যখন ফিরছি রাস্তায় একজন বলল আমাকে টমাস মান খোঁজ করছিলেন। তার নাকি এক রং মিস্ত্রির দরকার।
তার রং দুর্বলতার কথা সর্বজনবিদিত ।
এখনো নিজের দীর্ঘ দেওয়ালে দু’কোট টাচ্ বাকি ।
আর বাকি বলেই জেনে গেছি কি রং হলে বাদুড়েরা ডানা ঝাপটাবে না। জানালা বা দরজার হুকে এক বিশেষ ধরনের রং ব্যবহারে নাকি গোপনীয়তা অটুট থাকে। এমন উদার কক্ষে প্রথমে অন্নদামঙ্গল না শোনালে কোন রং ই দরাজ থাকে না।
তবে এটা জানা হয়ে ওঠেনি কারো জাদুবাস্তব বিছানার কাঙ্খিত রঙের বর্ণটি ।আলুর পাপড় আর গ্রিন টি সহযোগে নব্য পাঠকের অনাবিল মনস্কতা না মেশালে যে কোন প্রতিপদে বিছানাটি ত্রিদোষ প্রাপ্ত হতে পারে ।
আইনস্টাইন মোড় পেরিয়ে হেঁটেই চলেছি। কে বলে দেবে টমাস মানের রং করানোর বাড়িটি ঠিক কোন দিকে।