আমি নিতান্ত ছাপোষা অধ্যয়নহীন মনুষ্য মাত্র।
আমার গৃহের একটি মাত্র দরজা আর গুটিকয় বাতায়ন বর্তমান। মাঝে মাঝে উতলা কর্ণকুহরে
প্রবেশমথিত হাওয়ার সাথে শ্র্যয়ডিংগার শব্দের প্রার্দুভার টের পাই। বলাবাহুল্য ইহা কোন লিঙ্গের শব্দ আর কেনই বা আমার বাসগৃহে বালিশে- আসবাবে ও একটি বিড়ালের প্রতিকৃতির পাশে বোঁ-বোঁ করিয়া ঘুরিতে থাকিলে আমার অজ্ঞান
কুহরে প্রভুত মানষিক টানাপোড়েন শুরু হইল।
এখন মধ্যযাম। নিকটের শরীরী আতা গাছ থেকে এক প্রমান নৈঃশব্দ্য সারা ঘরে বিরাজ করিতেছে।
আমি একবার মিঁয়াও শব্দ শুনি। একবার মৎস্যের কল্পরূপে একবার একবার আতা-আতা বলে ডেকে উঠলে রাতের তারিখহীন ক্যালেন্ডার থেকে শ্র্যয়ডিংগার এর ঝাঁকে ঝাঁকে শ্রাব্যমানতার অশরীর কালপ্রহরে নবকুমারের মত রাসসুন্দরীর পিছনে ধাবমান মনে হইল। অতঃপর সারা ঘরময় বিড়ালধ্বনিতে মুখরিত।প্রকৃতার্থে বিড়াল আমার অপচ্ছন্দের জীব।অথচ এই মধ্যযামে প্রথমেই মনে হল এটি অপচ্ছন্দের জীব।আতাগাছের আশে পাশে নরম মাটিতে কখনো-সখনো ভ্রান্ত বিড়ালের আঁচড়ানে দেখে থাকবো।কখন ও বা তার আতারিপাতারি ধুলোতে গড়াগড়ি দেখে থাকবো।আমি কিভাবে বিড়াল প্রতিকৃতিকে বলতে পারি তুমি আমার একমাত্র আবাসভূমি থেকে দূর হটো। ততক্ষনে হাওয়া বাহিত শ্র্যয়ডিংগার কে অজ্ঞান ভূমি থেকে জ্ঞান ভূমিতে নামানোর কৌশল রপ্ত করি।