গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

১| ভবি

কপালের দোষে সেও কবিতা লিখিত
জোটেনা রিক্সা সেও কপালের দোষ
কে কার শিখন্ডী সেও কতটা শিখি তো
না কবিতা চর্যায় জন্ম আপসোস

যদিও জীবনানন্দ তার পত্নী ভীতি
দেরাজে লুক্কায়িত ভগ্ন দস্তাবেজ
যদিও দু’হাজার বাইশ অন্যরকম
সাবস্ক্রাইবার সত্যি কতটা ননভেজ

জল সহ শাঁস পাবে অভিনন্দন
এন্টেনা দাদাদের দেখাও পকেট
অনুশোচনা অগ্নি হেসে ওঠে বন
যদি অগ্নি সাক্ষাতের দাও চড়া রেট

বাল বাচ্চার সংসার জমাট এ হাটে
কবিতা কিনিবে কেডা আর বিকিকিনি
অভিনন্দন শেষে রাত্রি শূন্য কলস
প্রেমিকা ও মগ্ন রাত্রি একত্রে দেখিনি

সেজন বঙ্কিমচন্দ্র আর চন্দ্র মধু
জানিলেও লেখা হবে ফিরে এসো চাকা
সব শেয়ালের এক রা জানে মাতা বধূ
বিনা তৈলে লেখা নরক কলকাতা ঢাকা

২| অসামরিক হৃদক্ষেত্রফল

জানকী রোড থেকে হস্তীনাপুর
বা ইন্দ্রপ্রস্থ থেকে কুরুক্ষেত্র
উভয়ের মধ্যে যে লোহিত সাগর থাকতে পারে তা
কারো কল্পনায় আসেনি।

কয়েকটা অত্যাধুনিক সাবমেরিন তোমার বরাদ্দ মেজাজ কে ইড়া ও পিঙ্গলা নীল ক্ষেত্রে অপেক্ষমান রাখবে।
এই নৈবিহারের মধ্যে পারমানবিক প্রেমকথনের ষষ্ঠ ব্যটেলিয়ানে কোথাও বৃহন্নলা বা
ঘোসেটি বেগম থাকবেনা ।

সিগনাল ডিকোড করার জন্য কাস্পিয়ান সাগরের নৈশযানে সব আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি প্রমান পরিমানে মজুত থাকবে।

যেসমস্ত অববাহিকা থেকে বহর চালনা করতে পারো সেখানে শুধু পানু কাকার চিঠি পৌঁছানো আপাতত উহ্য থাকবে।

সেরা হৃদয়ঘটিত গুপ্তচরেরা এখন পুটিনের মন্ত্রণাকক্ষে অপেক্ষমান।
দেখি আপনি পাশা সাজাতে আর কত বসন্ত খরচ করেন।

৩| যৌগিক কথা

বৈশ্বায়ন কি কহিলেন বলুন খুল্লতাত
মীমাংসা ও সম্পর্কের সাক্ষ্য দৈবী রাতও
কোথাও নারী শালীন পুরুষ মাংসভুক
হৃদপিণ্ড খুঁজে মরে পিণ্ড ভরা বুক

তোমাকে দেখিয়া ভাবি দীপিকা পাড়ুকোন
তোমাকে দেখিয়া ফিদা মুকুব সব লোন
ঘর ও বাহিরে নাট্য মৃত নাট্যশালা
উচ্ছিষ্ট থেকে কদম জুটিয়েছিল কালা

জানান দেয় মাউথ স্পিকার অন্নদা শঙ্করী
আমি কামার বংশোদ্ভূত গড়ি সীতাহার
দরমাবেড়ার ফাঁক গলে জ্যোৎস্না সহচরী
নাগপাশ ব্রহ্মতনু বিবাহ ধর্মের বাড়

গীতা ছুঁয়ে বলেনা সত্য গৎ বিচারপতি
ইন্দ্রিয় ধৃত না হলে উন্মাদ রতিসেন
কি কহিবেন কি বিচার অন্ধ অতিশয়
হারেম বাজি রেখে সম্রাট যুদ্ধেই চললেন

সে যুদ্ধে কাহারা মরে ক্ষেত্রজ ও দানী
কি কহিবেন বৈশ্বায়ন নেতাজী ইনডোর
হ ও হসন্তের মধ্যে দেখি অগাধ পানি
পুলক না জাগিলেও জেগে থাকে ঘোর

৪| মৃত ত্রিভূজের গান

কতটুকু ঘ্রাণ ত্রিভূজের
বোধ কতটুকু পরিমিতি
আমি এক অশ্লীল ঋণ
নেটগ্ৰামে বেজেছিল ইতি

হত্যার বিকল্প খুঁজে
জেগে থাকে একাকী ধাতব
তুমি দেখো সবংয়ের পথে
মেলানকলির কলরব

কেহ বা ফোটায় ফুলনীল
উড়ে যায় গান ভাটিয়ালী
আমাদের দেখা ও অদেখা
দেখিয়াছে কঠোর বেড়ালি

ঘর ও কাঠের আসবাবে
সে জানেনা কোথায় বেড়াল
থাবা ও বিষের মাঝখানে
ত্রিভূজের রচনাটি ঢাল

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।