কবিতায় বিশ্বরূপ রাজগুরু
ছলনাময়ীকে(৭) শরীর গৌন করে রাখি মূখ্য হয় মুখোমুখি বসা- মনের গভীরে নেই ফাঁকি হট যাও কৃকর সর্বনাশা। তুমি কতটুকু দিতে পার সুখ না-পাওয়ার খুশি মাখি, অঙ্গে জড়িয়েছে ধ্যানের মগ্নতা, মুখ শুধু নির্বাক চলে তার...
বাঙালির সাহিত্য-ঠেক
ছলনাময়ীকে(৭) শরীর গৌন করে রাখি মূখ্য হয় মুখোমুখি বসা- মনের গভীরে নেই ফাঁকি হট যাও কৃকর সর্বনাশা। তুমি কতটুকু দিতে পার সুখ না-পাওয়ার খুশি মাখি, অঙ্গে জড়িয়েছে ধ্যানের মগ্নতা, মুখ শুধু নির্বাক চলে তার...
অভিলাষ শখের ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখা গোলাপটার দিকে একটিবার দেখো তাকিয়ে দেখো তার বাহার তার চমক, তার মন কাড়া সৌরভের মাতাল গন্ধে একদিন বিভোর হয়ে দেখো। দেখবে নিজের সবটুকু অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে তার চারিপাশটুকু রেখেছে...
ভালো থেকো প্রিয়তমা ভালো থেকো প্রিয়তমা তোমার নিজের বাসায় সকালের সূর্য দিচ্ছে উঁকি তোমাকে ছোঁয়ার আশায়। ভালো থেকো প্রিয়তমা প্রদীপ জ্বলা সাঁঝে চশমার পেছনে চোখ দুটি তোমায় আজো খোঁজে। ভালো থেকো প্রিয়তমা তোমার বৃষ্টিভেজা...
পাঠগ্রহণের দিনগুলি পর্ব – ৭ রাণাঘাট , নদিয়া থেকে নয়ের দশকে দুটো দারুণ কাগজ প্রকাশিত হতো । তপন ভট্টাচার্যের ‘পাললিক’ আর সজ্জ্বল দত্তের ‘মধুবন’ । দুটো কাগজেই চুটিয়ে লিখেছি ।তপনদার ‘চূর্ণী ‘ আর ‘অগ্নিকীট...
মায়া – মফস্বল ও ক্যাংলাসপার্টিরা পর্ব ১২ রং-ঢং মাহিনগর মালঞ্চ, অ্যাটলাসের মোড়। এখানে একটি বাড়িতে মাঝে মাঝে দুপুরের দিকে নিয়ে যেত মা। একটা উঠোন ঘিরে ছড়ানো বাড়ি, গৃহস্বামী আলিপুরে চাকরি করেন, তাঁকে দাদু বলি...
চিঠি আঁচলের সাবধানী গিঁটে মোড়া আছে বারুদের গন্ধ খেলা শেষ হওয়ার পর – সাদা পাতায় উলঙ্গ অক্ষরবিন্যাস তার দামী ষড়যন্ত্র চক্রাকারে দিন থেকে রাত খুঁজে আনে এখনও কান্না শোক – ফুল ফোটায় ঘুম জড়ানো...
জেনেটিক্স ও মহা প্রাচীন ভারত ( যে লোক জেনেটিক্স আর ইতিহাস কিছুই জানে না, এটা তেমন লোকের কল্পনা বিলাস। রামগরুড়ের ছানাদের অপাঠ্য ) ১ প্রাচীন ভারত যে বিজ্ঞানের বহু শাখায় আধুনিক ভারতকে টেক্কা দিত...
মাটি এখানেই তো ছায়া পড়েছিল আজও পড়েছে দ্যাখো ঘাসের হিম মুছে যাচ্ছে পায়ে পায়ে এ মাটি কবেকার চেনাজানা কাঁকর পাথর মৃত্তিকা দোঁয়াশে ফসলের গান মেঘের সেচজল আকাশের নীল বায়ুর অম্লজান সবই ছিল আছে এখনও...
সম্পর্ক উপুড় বইয়ের মতো ঝিমোনো দুপুর আলায় বালায় ঘুরে রেল কলোনির মাঠে সবুজ পশমে ভরে উঠছি যেই হাত নেড়ে ভাঙা দালান কাছে ডাকলো ছায়া টাঙালো ছ্যাতলা ধরা কার্নিশ আর ভারি তোরঙ্গ উঁচু করে ধরলো...
নিজ নিকেতনে বাবা কষ্টে সৃষ্টে একটা পুরোনো বাড়ি কিনে সারিয়ে নাম দিয়েছিলেন ” করুণা নিকেত”। প্রতি সন্ধ্যায় প্রার্থনা ছিল, ঠাকুর মা স্বামীজী ছিলেন…. আগে হয়নি, এখন মনে হয়, যা করুণার নিকেত ছিল তা কি...