ক্যাফে কাব্যে চারু
বৃষ্টি দিনে আপন মনে
কৃষ্ণপক্ষ ,শুক্লপক্ষ
আজও উপবাসী রাখে
আষাঢ়ে বৃষ্টি , অনুচ্চার বিরহ।
হাসনুহানার গন্ধ ,
খুঁজে মরে বসন্তের কোকিলকে।
এ কেমন কথা !
আত্মসমর্পণের বৃষ্টি ভেজা বিকেল গুলোতে ইচ্ছে করছে তার প্রেমে পড়তে ।
কোন এক নির্জন কক্ষে বসে থাকা
নির্জলা কবিতা পুরুষের চোখে আগুন দেখেছিল সে তীব্র বৃষ্টিতে ।
রুদ্র প্রকৃতি আর কবিতা পুরুষকে
স্বপ্ন দেখে বার বার ।
হয়তো প্রেমে তার অসম্মতি জেনেও
বৃষ্টিতে ভাসিয়েছিল তরী ।
ঘরের ভেতর হলুদ বিষন্ন মোমবাতিটা
চির দুঃখ হরণ করে চলেছে ঘুমহীন চোখে।
মেঘলা আকাশে, জমাট বাঁধা মেঘের ফাঁকে শুয়ে আছে এক ফালি চাঁদ।
দূরে ভেসে যায় জগন্নাথের বিগ্রহ ।
মেয়েটি প্রতীক্ষায় ,যদি ভালোবাসা কাছাকাছি আসে বৃষ্টি হয়ে।
নিজের মুখোমুখি বসে সে, ছিন্ন স্বপ্নকে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে কুসুমতি করার অপেক্ষায়। কবিতা পুরুষকে অনুভব করতে গিয়ে অচেনা এক ছিমছাম বৃষ্টি ঝরে পড়ে তার কবিতার শরীর জুড়ে ।
পদবী বিহীন কোন ভালোবাসা চেয়েছিল কিন্তু রাধিকার পূর্বরাগ এর মত সারারাত বৃষ্টি পতনের ধ্বনিতে মুছে যায়
মেঘ বর্ণ মেয়েটির সে চাওয়া ।
চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে
তীব্র আবেগে নতজানু হয় শেষ রাতের বৃষ্টির মায়াবী সুরে।