গল্পেরা জোনাকি-তে বিবেকানন্দ ত্রিপাঠী

আগন্তুক

আজ সকালেই এক জন লোক বাড়িতে এসে হাজির।
নাম বলল ইন্দ্র কুমার।
কি জন্য এসেছে প্রশ্নে তার জবাব,দুটি কথা বলতে এসেছে।
তুমি তো আমার চেনা নও,আমার সাথে কি কাজ?
কাজ আছে বলেই তো এসেছি।
তা বল।
হ্যাঁ, বলছি।
বাবু,আমার ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।আজ দু দিন খাই নি।জল খেয়ে আছি।
ওর কথা শুনব কি,বৌমাকে বললাম,একে কিছু খেতে দাও তো।
কিছু খাওয়ার পর ইন্দ্রনাথ এক কাহিনী বলতে শুরু করল।
তার পরিবারের কাহিনী।কেন তার ছেলে তাকে ঘর থেকে বের করে দিল সবই বলল।
ইন্দ্র বলল তার স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল,তুমি তোমার জমি সম্পত্তি ছেলের নামে লিখে দিও।
তার কথা মতই সব কিছু ছেলের নামে করে দিয়েছি।
ছেলেটা চাকরি করে,প্রেম করে বিয়ে করেছে।তার স্ত্রী খুব খারাপ মেয়ে।আমার ছেলে যখন কাজে যেত আমাকে গালাগালি এমন কি মারধরও করত।
সব সহ্য করেও ছেলেকে কিছু বলিনি।
গতকাল ছেলেই আমাকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে।
বাবু আমার একটা উপায় করে দিন।
তা আমি কি করতে পারি।তুমি এক কাজ কর এখানকার মহকুমা শাসককে আমি ফোনে বলে দিচ্ছি।তুমি তার কাছে যাও।তিনি কিছু সুরাহা করে দেবেন।
ইন্দ্র তা শুনে চীৎকার করে উঠল।
না বাবু,ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ করলে আমার স্ত্রীর আত্মা কষ্ট পাবে।
আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন।আমি কাজ করে খাব।ফুটপাতে থেকে যাব।
ছেলের নামে আইন আদালত করতে পারব না।
ঠিক আছে।তুমি এখন এস।দু দিন পর আসবে।দেখি কি করা যায়।
তার জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা কোন ভাবে করে দেওয়া গেল।
কিন্তু ইন্দ্র কই? সেই তো আসে না।
ও যে ঠিকানা বলেছিল সেখানে খবর নিতে জানা গেল সে রাস্তায় লরী চাপা পড়ে মারা গেছে দু দিন আগেই।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!