সাহিত্য ভাষান্তরে বাসুদেব দাস

শূন্যতা

কৃষ্ণকায় মাঝি
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ

একদিন আমি শূন্যতার সাঁকো দিয়ে বেয়ে বেয়ে
শূন্যতা দিয়ে একটি ঘর বানালাম
আমার ঝুলিটাও ছিল শূন্য
পকেটও ছিল শূন্য
আমার অজ্ঞাতসারে শূন্যতার ঘরে প্রবেশ করল
একটু আলো
আলো জিজ্ঞেস করল
তোমার চোখে এত শূন্যতা কেন
রোদ আমাদের শূন্য ঘরের চালে উঠে জিজ্ঞেস করল
তোমার হৃদয়ের শূন্যতা কে পূর্ণ করবে
আমি খুঁজে খুঁজে আকাশকে আনলাম
শূন্য ঘরের চালে শূন্য একটা আকাশ চাই
শূন্যতার বাক্সে বৃষ্টি এত রঙ মাখে
আমি বুঝেও বুঝতে পারলাম না শূন্যতা পূরণ করার জন্য
এক কাঠা এক বিঘা মাটি কেন লাগে
কেবল মাটি আর জলেই
শূন্যতার সম্পূরণ অথবা সমাধি তৈরি করতে পারি
শূন্যতার হাতে ধরে
আমি আবার একটা শূন্য শহরে উপস্থিত হলাম
শূন্যতার চিৎকারে শূন্য হয়ে পড়ে আল্লা-ঈশ্বর
কেবল শূন্যতাই ঘিরে রাখে চারপাশের ফুঁপিয়ে কান্না
আমার হাত ঘড়িতে এখন সময় শূন্য
ধীরে ধীরে শূন্য হয়ে আসা একটি নদী
খুঁড়ে খুঁড়ে জলের খোঁজ করলাম
বাতাসে শূন্যতার একটা ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে
সমস্ত কিছু শূন্য করে দিল
এবার শূন্যতার ক্ষয়ীভবন টুকরো টুকরো করে খসিয়ে
শূন্যতায় আমাকে পুঁততে থাকে
আমার শূন্য হয়ে আসা রক্ত-মাংস-জল
শূন্যের মধ্যে বিলীন হয়ে গেল
প্রকৃতপক্ষে আমি ও শূন্যই
বিশ্বাসহীনতার
অসীম শূন্যতায় ছিটকে পড়া
নামহীন একটা শূন্য তারা…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।