কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে ডা.বেনজীর আহমেদ

সময়ের প্রয়োজনে

জহির রায়হানের
সময়ের প্রয়োজনে গল্পটির আবেদন
ফুরিয়েছে কি এখনো?
“যাদের সাথে এক টেবিলে বসেছি,খেয়েছি,
এখন তাদেরই একজনকে মারতে পারলেই
উল্লাসে ফেটে পড়ি”
মনে কি পড়ে লাইনটি?
হ্যা তাইতো,
যারা আমার সম্ভ্রম,দাঁত দিয়ে করেছে কুটিকুটি।
সময়ের প্রয়োজনে তাদের সাথেই
সংঘের সভাতে বসি।
নিমন্ত্রণ করে দেই-
লাল গালিচা সম্বর্ধনা।
যারা আমার পিতাকে হত্যা করে-
জাতিকে করেছে এতিম।
তাদেরকে যখন এক টেবিলে দেখি
প্রশ্ন জাগে প্রশ্ন জাগে এ মনে,
সবই কি তবে সময়ের প্রয়োজনে?
রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই
যেখানে শেষ সেখানেই শুরু।
এইতো সেদিনের কথা-
“গণতন্ত্র মুক্তি পাক
সৈরাচার নিপাত যাক”
মিছিলে মিছিলে মুখর সারা দেশ।
মিছিলের অগ্রভাগের ছেলেটি-
যে কিনা পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানো গ্যাস
পুলিশকেই ছুঁড়ে মারতে ছিলো সিদ্ধহস্ত।
সেই ছেলেটি-
যার পায়ে গুলি লেগেছিল।
সৈরাচারের ভয়ে,
কোন হসপিটালেই ভর্তি হতে পারেনি যে।
অবশেষে-
পা- টি তার কেটেই ফেলতে হলো।
ছেলেটি আজ-
ক্রাচে ভর দিয়ে হাটে।
অবশেষে-
গণতন্ত্র এলো!
সৈরাচারের দোসরেরা-
গিরগিটীর ন্যায় রঙ বদলে,
আবার ভোটের মন্ঞ্চে।
গণতন্ত্র কামী নেতা নেত্রী
আর সৈরাচার-
আবার এক টেবিলে!
গণতন্ত্র এলো!
ভোট এলো, ভোট গেলো,
ছেলেটি আজও-
ক্রাচে ভর দিয়ে হাটে।
ছেলেটি নয়,
গণতন্ত্রই কি-
ক্রাচে ভর দিয়ে হাটে?

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!