জন্মের প্রথম শুভক্ষন – এ অমিতাভ সরকার

নেপথ্যে

শিল্পটা বোঝা জেনো শক্ত
তাই তো কোথায় সেটা দাঁড়াবে?
সিঁড়ি দিয়ে উপরটা অনেকই,
যদি তাকে কেউ টেনে না নামায়।

শিল্পটা খাওয়া চাই রোজ রোজ।
মনের গরম ভাব কমানো
পিপাসা যা কিছু সে তো মিটবার।
জল যদি হয় ইষদুষ্ণ
সর্দিকাশিরও সেটা উপকার।

শিল্পটা যেন হাতে আচারই।
সব নিয়ে শরীরের ঘ্রাণটা
জিভটায় যদি স্বাদ না থাকে
ভুল্র গিয়ে এখুনি তা ফিরবে।

আমি নিজে তাড়িয়েই সব খাই।
চেহারাটা তাই ভালো হয় না,
সবটা তো একবারে শেষ হলে
পরে তবে এটা আর কী পাবো?

যোগাযোগ ছিল সেটা আগেতেই।
সাক্ষাৎটাই ক্রমে কমে যায়।
দীর্ঘ সে বিস্মৃত-ডোবাটায়
বল হয়ে যেন তরী ডুবে যায়।

হঠাৎই তো কোনো কিছু খুঁজতে
কাছে পাওয়া অনেকটা তোমাকে।
তুমিও আমার কাছে একলা।

অবিরত বৃষ্টিরা ঝরে যায়।
পাতাগুলো যেন ছোঁড়ে হাত-পা,
স্নানঘরে লাফালাফি সারছেই
জলভেজা গ্রীবা, কটি, তলদেশ|
মাটি-জলে ভিজছে তো সবটা।

জল ছোঁয় তোমার ও শরীরটা।
জল খাওয়া ভেজা চুলে ঝাপটা,
মনটা আমার আজ চাইছে।
তাই তো যে চেয়ে দেখা তোমাকে।

তুমি-আমি দুজনেই সিক্ত।
শ্বাস-প্রশ্বাসে ধরা তোমাকে
লিখতে বসেই লেখা তোমাকেই।

কলমটা ধরতেই চলছে।
চাই না তো কিছু আমি বলতে
হাবে-ভাবে নেই কোনো সংশয়;
তোমার কথাই বুঝি লিখছে!

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!