কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আনোয়ার রশীদ সাগর

দীর্ঘবিশ্বাস

টিয়া পাখির ধরণ নিয়ে, শ্যামা ঘাসের বরণ নিয়ে
কেউ যেন এসেছিল নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে,
তারপর পাখিদের কত,কত যে উড়াউড়ি!
উড়তে উড়তে উড়তে এক সময় ঝড় নামে, নরম বুকে আকাশের কোলে
সে ঝড় আর থামে না তো থামেই না;
অপেক্ষা শুধু খাঁচায় বন্দী পাখিটার জন্য
সেকি অপেক্ষা, একেবারে ভরাট নদীর পুরো জল।
ইচ্ছেগুলো মরতে মরতে হয় ঝলসানো দূর্বাঘাস।
প্রভাবের দাপটে থেমে যায় গোজানো সবুজ বনানী,পায়ে হাঁটা তামাটে পথ।
পাখিরা উড়া ভুলে যায়, নদী স্রোত হারায়, ভরা জলে খরা নামে;
শুকনো মরুভূমি জীবন,শুকাতে শুকাতে খালি হয় নদীর কোল,
সূর্যতাপের প্রখর তাপে তৃষ্ণায় বুক ফাটে,চৈচির চৈত্রমাঠ।
আর কোথাও দেখি না টিয়ে পাখিদের উড়া অথবা শ্যামা ঘাসেদের দোল খাওয়া।
তবে ওড়ে ওরা, যখন ঘুমোতে ঘুমোতে নীরব হয় রাত;
দোল খায় ওরা নীরব মাঠের নিঃশ্বাসে নীলবুকে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।