বিজয়ের মা বিজয়ের সাথে দেখা করতে আসে , কি’রে বাবা কেমন আছিস ? বিজয় – ” ভালো আছি মা , তুমি আমার এখান থেকে নিয়ে চলো আমি আর পড়াশুনা করবো না হস্টেলে থেকে, আমি তোমার কাছে থাকবো মা ওখান থেকে পড়বো”। হ্যাঁ বাবা ,তোকে আর এখানে থাকতে হবে না তুই ভালো হয়ে যা তাড়াতাড়ি, আমি নিয়ে যাব । বিজয়ের মনে তখন শুধু মিমের কথা ঘুরছে , পারলে সে মাকে বলে দেয় কিন্তুু মায়ের যে বয়েস হয়েছে । বিজয়ের মা চলে যায় ,আজ শুধু বিজয়ের মনে অপরাধবোধ কাজ করছে হয়তো রাহুল আর অমিতকে মিম মেরেছিল , যে মিমকে বেঁচে থাকতে সবাই ভালোবাসত । মিম একটা সুন্দর সরল মেয়ে কি ভাবে সে মারা গিয়ে ভূত হয়ে গেলো? বিজয় ছোট থেকে ভূত বিশ্বাস করতো না কিন্তুু আজ যে সামনে থেকে দেখছে।
বিজয়ের হস্টেল আজ প্রায় জনশূন্য এক এক করে সবাই বাড়ি ফিরে গিয়েছে , কেউ বা অন্য হস্টেল বেছে নিয়েছে। পুলিশের অশেষ প্রচেষ্টার পরও অমিত, রাহুলের মৃত্যু রহস্য খুঁজে বের করা যায়নি। রাত তখন ১২টা ৩০ মিনিট প্রায় ,হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকা বিজয় ভাবছে আজ যদি মিম আসে কি করবে , এখন তো বিজয় জানে মিম ভূত। আগেও যে বিজয়ের সন্দেহ হয়নি তা নয় কিন্তুু সে বিশ্বাস করতে পারে নি । হঠাৎ একটা শব্দে বিজয় চোখ মেলে দেখে মিম তখন বিজয়ের খুব কাছে । বিজয়ের শরীর তখন ভয়ে ঘামছে , কণ্ঠস্বরেও কম্পন শুরু হয়েছে , সে আধো আধো গলায় বললো “তুমি এখন”। মিম – ” হুম আমি তো রোজ আসি , তুমি ঘামছো কেন ” ? বিজয় নিজেকে সামলে নিয়ে , ” না মানে আজ একটু শরীরটা খারাপ লাগছে তো তাই ” তুমি বাড়ি যাও।
মিম বিজয়ের মাথায় হাত দিতে যায় বিজয় বারণ করে । বিজয় – “মিম তোমাকে আমি একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো “? মিম- ” হুম বলো”। স্কুলের পর থেকে তো তোমার সাথে আমার দেখা হয়নি আর স্কুলে ও আমি কখনো বলিনি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি , তাহলে তুমি কি করে এইখানে আসলে ? মিম – আমি তোমার ভালোবাসতাম তাই নিজে খুঁজে নিয়েছি । বিজয় – ” তাতে লাভ কি দুজন তো দুই জগৎের এখন । তুমি আর এসো না আমার কাছে ,কারোর ক্ষতিও কোরোনা”। মিম- ” তাহলে তুমি সব জেনে গিয়েছ , কিন্তুু আমি যে তোমায় ছাড়তে পারবো না , ভেবেছিলাম দুজন দু জগৎে থাকবো আর তা হবে না এই বলে মিম তার আসল রূপ ধারণ করলো, চোখ দিয়ে আলোর ফুলকি বের হচ্ছে, সে এক বিকট রূপ যা দেখে বিজয় সহ্য করতে না পেরে হার্টফেল করলো!